টিকটকে আসক্ত হচ্ছে রাজগঞ্জের তরুণ-তরুণীরা
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা টিকটকে আসক্ত হচ্ছে। নিজেকে আকর্ষনীয় দেখাতে এক শ্রেণির তরুণ-তরুণীরা টিকটক সেলিব্রেটি করছে। তারা বিভিন্ন স্পটে যেয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিময় ছবি ভিডিও করে টিকটকে যুক্ত করছে।
জানাগেছে- যেসমস্ত তরুণ-তরুণীরা এই টিকটকে ভিডিও যুক্ত করছে, তারা ৭ম শ্রেণি থেকে ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী।এই তরুণ-তরুণীরা ছদ্মনামে আইডি ব্যবহার করে টিকটক সেলিব্রেটি বানিয়ে মিউজিক অ্যাপ ব্যবহার করছে। তারপর সেই ভিডিওগুলো যুক্ত করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক অ্যাপে। প্রচুর লাইক, কমেন্ট পড়ছে তাদের আপলোডকৃত ভিডিওতে। হয়তো প্রচুর লাইক, কমেন্টের লোভেই তরুণ-তরুণীরা টিকটকে ঝুঁকছে?
এক মন্তব্যে, রাজগঞ্জের সচেতন মহল বলছে- রীতিমতো সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক। উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা টিকটক ব্যবহার করে, তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলছে।
সেলিব্রেটি হওয়ার লোভে তারা, তাদের উজ্জল ভবিষ্যত নষ্ট করছে। সচেতন মহল আরও বলছে- তাদের মতে, মাদকের নেশার চেয়েও ভয়ানক নেশা হচ্ছে টিকটক সেলিব্রেটি।
সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে- দেশের উঠতি তরুণ-তরুণীদের একটি অংশ এখন টিকটকসহ বিভিন্ন মিউজিক অ্যাপসমুখী হচ্ছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় গ্রাম পর্যায়ের তরুণ-তরুণীরা এই আগ্রাসী থাবায় আসক্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- স্কুল, কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা টিকটকের নামে নিজেদের সোসাল মিডিয়ায় বিলিয়ে দিচ্ছে। আর এক শ্রেণির মানুষ এই সুযোগে এই টিকটকারদের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি দেখে মজা নিচ্ছে। আর চরিত্র নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যতো করছেই।
এলাকার একটি সূত্র বলছে- দিন দিন তরুণ-তরুণীসহ শিশুরাও বি-পথে ধাবিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ওই সব টিকটক নির্মাণকারীদের শনাক্ত করতে প্রশাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে, সচেতন মহল আরও বলছেন- স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা টিকটকে যাতে আসক্ত না হয়, এজন্যে প্রশাসনের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়া দরকার। অভিভাবকদের নজরদারির অভাবে তাদের সন্তানেরা বিভিন্ন অপরাধ জগতে চলে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- টিকটক এভাবে চলতে থাকলে, এক সময় সমাজের ক্যানসার হয়ে দেখা দেবে। এই মাধ্যমটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। তা না হলে আগামী প্রজন্মের উজ্জল ভবিষ্যত ভালো হবে না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)