থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর পোস্ট
জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, সারা বছর ভালো থাকার জন্য প্রকৃতি পূজারীরা বছরের প্রথম দিন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠত। অথচ আজকের বিজ্ঞানমনস্করা সেই অবান্তর উৎসবকে ধুমধাম করে পালন করতে সবচেয়ে উৎসাহী। থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশের মাটি থেকে উৎসারিত কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের উন্মাদনা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
আহমাদুল্লাহ প্রশ্ন রেখে বলেন, বিগত বছরগুলোতে এই উন্মাদনার বলি হয়েছে শিশু উমায়ের। ধ্বংস হয়েছে সর্বস্ব দিয়ে গড়ে তোলা এক বোনের প্লাস্টিক কারখানা। বিপন্ন হয়েছে শত শত পাখি ও কুকুর-বিড়ালের জীবন। বর্ষবরণের নামে আমদানি করা এই অনাচার ও অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে উপরের ঘটনাগুলোই কি যথেষ্ট নয়?
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আশার খবর হলো, সরকার এ বছর ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও কেউ যদি এই অনাচার করতে চায়, তবে প্রত্যেক এলাকার দায়িত্বশীল বিবেকবান মানুষের এই অনাচার বন্ধে সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
জনপ্রিয় এই ইসলামি আলোচক বলেন, নতুন বছরে আমরা কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ শুনতে চাই না। আমরা ফানুসের আগুন, শব্দদূষণ, পশুপাখি ও বৃদ্ধ-শিশুদের আতঙ্কমুক্ত একটি নতুন বছরে প্রবেশ করতে চাই।
কমেন্টে বক্সে তিনি আরও বলেন, নতুন বছরের আগমন যদি আনন্দের কারণ হয়, তবে পুরনো বছরের বিদায় বেদনার কারণ হওয়া উচিত। নববর্ষে যারা আনন্দ উদযাপন করে, হারিয়ে ফেলা বছরটির জন্য তারা কি কখনো বেদনা অনুভব করে?
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, যে শহরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে বৈদ্যুতিক তার, সেই শহরের যুবকেরা যখন আকাশে ফানুসের আগুন নিয়ে খেলা করে, তাদের বুক কি একটুও কেঁপে ওঠে না দুর্ঘটনার শঙ্কায়! আমরা জীববৈচিত্র্যের কথা বলি। প্রকৃতির শোভা বর্ধনে পাখিদের অবদানের কথা বলি। অথচ উৎসবের নামে অযৌক্তিক এই উন্মাদনার কারণে যে আমাদের পরিবেশ ও প্রাণীবৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, তার বেলায় আমরা কেন চুপ!
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)