রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড ছিল রহস্যজনক: মেজর হাফিজ

বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড রহস্যজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে এটি।বিডিআর হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ করেন।

মেজর হাফিজ বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। কমিশন গঠন করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন করে তদন্ত করার উদ্যোগ নেওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নৈতিক বল ভেঙ্গে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে এই হত্যাকাণ্ড। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বসহ অনেকেই জড়িত। বিডিআর প্রধান শাকিল সেনাপ্রধানের কাছে সাহায্য চাইলেও পাঠায়নি সেনাবাহিনী। বিদ্রোহের কথা শুনলে বিদ্রোহ দমন করা সেনাকর্মকর্তার দায়িত্ব। সেনাবাহিনী হত্যাকাণ্ডের পরপরই সাঁজোয়া যানসহ মিলিটারি অ্যাকশনে যাওয়ার কথা থাকলে সেনাপ্রধান ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার করতে দেয়নি। সরকারপ্রধানের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

সুবেদারকে বাহিনী প্রধান করার নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই উল্লেখ করে মেজর হাফিজ বলেন, সরকারপ্রধান ও সরকারি দলের যোগসাজসেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েকটি কমিশন করলেও সেগুলোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। সেনাবাহিনীর ইনকোয়ারির রিপোর্টটিও অন্ধকারে রয়ে গেছে।

মেজর হাফিজ বলেন, আওয়ামী লীগের সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু পরিণতির কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জেনারেল মঈনের কারো কাছ থেকে কোনো নির্দেশের প্রয়োজন ছিল না, তারপরও ব্যবস্থা নেয়নি। সেনাবাহিনীর মনোবল ধ্বংস করতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।

শেখ হাসিনা অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করলে সেখানে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা ৫০-৬০ জন অফিসারকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। সেনাবাহিনীতে পুনর্বহালের আহ্বান জানান তিনি। পুনঃতদন্ত সঠিকভাবে করতে বিএনপি সহযোগিতা করবে বলেও জানান।

হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রতিবেশী দেশের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। সেনাবাহিনীকে দলীয়করণ এমনভাবে করেছে যে জেনারেলরা কথা বললে যেন ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছে। সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার প্রাথমিক পদক্ষেপ বিডিআর হত্যাকাণ্ড। দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসে যেসব দল, দেশ ভূমিকা নিয়েছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ঐক্যের মাঝে এ সরকারের জন্ম, একতাই শক্তি: ড. ইউনূস

ঐক্যের মাঝে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.বিস্তারিত পড়ুন

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সর্বদলীয় বৈঠক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.বিস্তারিত পড়ুন

ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

ওষুধ, পোশাকসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর যে বাড়তি ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে-বিস্তারিত পড়ুন

  • জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
  • ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত কোনোভাবেই স্থির হতে পারছে না: রিজভী
  • ১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপির লুৎফুজ্জামান বাবর
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের গেজেট প্রকাশ
  • এমপিদের সুবিধা কমানো, একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নয়
  • প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি
  • আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ৯০ শতাংশ মানুষ : সংস্কার কমিশন
  • সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধি
  • রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন গঠন
  • সংস্কার বাস্তবায়ন করতে চাই, নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলের ঐক্যের ওপর : আসিফ নজরুল
  • ছাত্রীদের আবাসনের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা দেবে ঢাবি
  • সংস্কার প্রতিবেদন থেকে হবে নতুন বাংলাদেশ, তার ভিত্তিতেই সবকিছু: প্রধান উপদেষ্টা