বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি আসবে দেশে, আশা সরকারের
প্রায় আট বছর পর গভীর ও অগভীর সমুদ্রের ২৪টি ব্লকে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সরকার যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে, তাতে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
বাংলাদেশ অফশোর বিডিং-২০২৪ উপলক্ষে সোমবার পেট্রোবাংলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রোববার বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলার ওয়েবসাইটে দরপত্র প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে ক্ষেত্রগুলোতে অনুসন্ধান করা হবে, দরপত্রে তার নিরাপত্তার বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছে। আর সমুদ্রে তেল-গ্যাসের বড় মজুদ পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো: নূরুল আলম।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে অফশোর ও অনশোরের জন্য আলাদাভাবে পিএসসি হালনাগাদ করা হলেও করোনাভাইরাস মহামারির জন্য দরপত্র আহ্বান করা সম্ভব হয়নি।
তবে করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতির সাথে সাথে তেলের বাজারেও বেশ অস্থিরতা দেখা যায়। ফলে অনুসন্ধান কার্যক্রমে ভাটা লক্ষ করা যায়। এরই প্রেক্ষিতে অফশোর মডেল পিএসসি ২০১৯-কে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আরও যুগোপযোগী ও প্রতিযোগিতামূলক করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ করা হয়।
পরামর্শকের মতামত ও পেট্রোবাংলার নিজস্ব পর্যালোচনার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ অফশোর মডেল পিএসসি ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়; যা গত বছরের ২৬ জুলাই অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়।
এবারের পিএসসির গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় অনুসন্ধানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু আকর্ষণীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, গভীর ও অগভীর সমুদ্রাঞ্চলের উভয়ের জন্য বাৎসরিক কস্ট রিকভারি সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের ফলে ঠিকাদাররা বিনিয়োগ করা অর্থ দ্রুত ফেরত পাওয়ায় একদিকে উৎসাহিত হবে অন্যদিকে কস্ট রিকভারি দ্রুত শেষ হলে পেট্রোবাংলা তথা সরকারও দ্রুত বেশি হারে লভ্যাংশ পাবে।
সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলনে আন্তর্জাতিক দরপত্র সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলনে আন্তর্জাতিক দরপত্র এবারের পিএসপির আরেকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে মুনাফা ভাগাভাগিতে। আগের পিএসসিতে মুনাফা ভাগাভাগির বিষয়টি ছিলো উৎপাদনভিত্তিক।
নতুন পিএসসিতে অনুসরণ করা হয়েছে ‘লাভজনকতা ভিত্তিক’ পদ্ধতি। আর-ফ্যাক্ট নামের এই পদ্ধতিতে ঠিকাদারের বিনিয়োগ করা অর্থ যৌক্তিক সময়ে ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের আরো বেশি লভ্যাংশ পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, আগের পিএসপিগুলোতে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা মার্কার প্রাইসের পরিবর্তন আনা হয়েছে। অগভীর ও গভীর সমুদ্রের গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের জন্য মার্কার প্রাইস হিসেবে ব্রেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ব্রেন্টের ১০ শতাংশ। আর আগের ফ্লোর ও সিলিং তুলে দেয়ায় গ্যাসের মূল্য সংযুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)