মনিরামপুরে বাপের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে না পেরে যুবকের আত্মহ*ত্যা


দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন যুবক আব্দুর রহিম (২২)। মাঝে মধ্যে ঝগড়া লাগতো তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এভাবে সম্পর্কের টানাপোড়েনের ভিতর দিয়ে তাদের সংসার জীবন কেটেছে দুটি বছর।
একমাস আগে আবারও পারিবারিক দ্বন্দ্ব লাগলে বাবার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। এরপর আর ফেরেনি। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল-২০২৫) স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে বাবাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান আব্দুর রহিম। অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন বাবা ও ছেলে। স্ত্রী না আসায় মনের কষ্টে শুক্রবার (১১ এপ্রিল-২০২৫) সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন আব্দুর রহিম। আত্মহত্যার শিকার যুবক যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে। পেশায় আব্দুর রহিম রাজমিস্ত্রি। এই ঘটনায় শুক্রবার সকালে মনিরামপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেহেদী হাসান বলেন- আব্দুর রহিম রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। দুই বছর আগে একই উপজেলার বাকোশপোল গ্রামে একটি মেয়েকে বিয়ে করেন আব্দুর রহিম। একমাস আগে মনোমালিন্য হলে বাবার বাড়িতে চলে যান ওই নারী। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল-২০৩৫) স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে বাবা পিয়ার আলীকে সাথে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান তিনি। স্ত্রী ফিরতে না চাওয়ায় তারা খালি হাতে ফিরে আসেন। ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান আরও বলেন- শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় নিজ ঘরে আড়ার সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন আব্দুর রহিম। পরে আমিসহ স্থানীয়রা থানায় গিয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছি। এরপর খেদাপাড়া ক্যাম্পের পুলিশ এসে দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান বলেন- আব্দুর রহিমের আত্মহত্যার খবর তার শ্বশুর পক্ষকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলাম। তারা কেউ লাশ দেখতে আসেননি। খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান বলেন- প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে মনের কষ্টে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আব্দুর রহিম। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
