সাতক্ষীরায় রাস্তা বেহালদশায় চলাচলে জনসাধারণ হচ্ছে চরম দূর্ভোগ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১০নং আগরদাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কাশেমপুরের রাস্তাগুলো বেহালদশায় জনসাধারণের চলাচলে চরম দূর্ভোগ হচ্ছে।
কাশেমপুর মাঝেরপাড়ার ব্রিপুকুর নামে একটি কাঁচা রাস্তা আছে। সেই রাস্তায় সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে জনদূর্ভোগের চিত্র। মানুষ চলাচল করছে কাঁচা রাস্তায়। রাস্তাটি কাদা-পানিতে পিচ্ছিল হয়ে চলাচলের অযোগ্য। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি জরাজীর্ণ হয়ে পুকুরে ধসে পড়ছে। বর্ষা হলেই রাস্তায় কাদা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, কাশেমপুরের ব্রিপুকুরের কাচা রাস্তাটির পাশে দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তারা। রাস্তাটি বেহালদশা অবস্থায় পড়ে থাকলেও কেউ দেখে না। কিন্তু প্রতিবার নির্বাচনের সময় এই রাস্তা নিয়ে চলে ভোটনীতি। নির্বাচিত হওয়ার পরে চেয়ারম্যান মেম্বর ও সংশ্লিষ্টদের রাস্তাটি দেখে কিন্তু ভোটের আগের প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়। আজ পর্যন্ত তারা রাস্তাটি সংস্কার অথবা পাঁকাকরণের জন্য উদ্যোগ নেয়নি। এছাড়া এই রাস্তার দুপাশে পানি নিস্কাশনের জন্য আজও পর্যন্ত একটি কালভার্ট নির্মাণ হয়নি। একটি কালভার্ট নির্মাণের অভাবে স্থানীয়দের ঘরবাড়ির উঠানে ও ফসলী জমিতে বর্ষার পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, গেলো অর্থ বছরে আগরদাড়ী ইউনিয়নে কার্পেটিং পিচের রাস্তা ও ইটের সোলিং রাস্তার জন্য সরকারি বরাদ্দ দেয় সরকার। লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ আসলেও কাশেমপুরে ব্রিপুকুরের কাচা রাস্তাটি কপালে জোটেনি সেই বরাদ্দ। এছাড়া কাশেমপুরে কলোনিপাড়া আবুল খায়ের দোকান হতে মাঝেরপাড়া বাইপাস সড়ক পর্যন্ত, দক্ষিণপাড়া মিয়ারাজ টাকির বাড়ি হতে দক্ষিণপাড়া বাইপাস সড়ক পর্যন্ত ও স্টোনভাটার এডভোকেট আবুল হাসানের বাড়ি হতে পলাশের বাড়ি পর্যন্ত ইটের সোলিং রাস্তাটি বছরের পর বছর জরাজীর্ণ হয়ে ইটের সোলিং উঠে গেছে। এসব ইটের সোলিং রাস্তা বিভিন্ন স্থানে রাস্তা পুকুরে ধসে পড়ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গ্রাম হবে শহর। ঠিক তাই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে শুরু গ্রাম অঞ্চলে রাস্তাগুলো ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু দু:খের বিষয় সদর উপজেলার শহরতলীর কাশেমপুর গ্রামে আজও পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। কাশেমপুরের রাস্তাগুলো কার্পেটিং পিচ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানান গ্রামবাসি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)