সোমালিয়ায় ছিনতাই হওয়া আরেকটি জাহাজে কমান্ডো অভিযানে দস্যুদের আত্মসমর্পণ, নাবিক উদ্ধার
ভারত মহাসাগরে বিশেষ কমান্ডো অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজ দখলে নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। মাল্টার পতাকাবাহী ‘এমভি রুয়েন’ নামের ওই জাহাজটি গত বছরের শেষ দিকে ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
ভারতের নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৪০ ঘণ্টার অপারেশনে জলদস্যুদের কবলে থাকা মাল্টার জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা শনিবার (১৬ মার্চ) জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই জাহাজের ৩৫ জলদস্যুকে কোণঠাসা করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। পরে তারা আত্মসমর্পণ করে।
একইসঙ্গে ওই জাহাজ থেকে ১৭ জন নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার ওই জাহাজটির ওপর দিয়ে চক্কর দেয়ার সময় জলদস্যুদের একজনকে হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা যায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, ৪০ ঘণ্টা ধরে চালানো উদ্ধার অভিযানে এমভি রুয়েনকে আলাদা করে ফেলতে সক্ষম হয় আইএনএস কলকাতা। ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজকে থামতে বাধ্য করে তারা।
জানা গেছে, জাহাজের নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার এবং এর পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নিতে অভিযানে সহায়তা দেয় ভারতের আরেক যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুভদ্র, হাই অলটিটিউড লং এনডুরেন্স ড্রোন, পি৮আই সামুদ্রিক টহল বিমান, সি-১৭ বিমান থেকে নামিয়ে দেয়া মারকোস প্রাহারস।
পরে ওই জাহাজে কোনো বেআইনি অস্ত্র, গোলাবারুদ বা অন্য কিছু রাখা আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। এর আগে ভারতীয় নৌবাহিনী চলমান উদ্ধার অভিযান নিয়ে তথ্য শেয়ার করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ দখলের জন্য এই জাহাজটিকে বেস বা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী গত বৃহস্পতিবার জানায়, সোমালি জলদস্যুরা গত বছরের ডিসেম্বরে মাল্টিজ-পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজ রুয়েন ছিনতাই করেছিল। আর সেই জাহাজটিই তারা দুই দিন আগে সোমালিয়ার উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ দখলে নিতে ব্যবহার করতে পারে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)