হামাস নয়, ইসরাইল ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’: এরদোগান
গাজার হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় বরং একটি রাজনৈতিক দল, ইসরাইল প্রকৃত ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
বুধবার পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করতে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রতি আহ্বান জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
এরদোগানা বলেন, ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনকারী ইসরাইলিদের যেন সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, আঙ্কারা তা নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, পশ্চিমাদের ‘অসীম’ সমর্থন নিয়ে গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা ‘মানব ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতারণামূলক হামলা’।
দুই দিন পর জার্মানি সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। পশ্চিমাদের সমালোচনায় মুখর তুরস্কের এ নেতার সফর নানা কারণে স্পর্শকাতর। এর মধ্যেই ইসরাইল নিয়ে এ মন্তব্য ইঙ্গিতবাহী।
এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় বরং একটি রাজনৈতিক দল, যেটি ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল।
নিজের দল একে পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলছি— ইসরাইল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। দেশটির প্রশাসনের প্রতি সমালোচনা করার সময় আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, এই গণহত্যাকে কারা সমর্থন এবং বৈধতা দিচ্ছে। আমরা গণহত্যা দেখতে পাচ্ছি।’
ইসরাইলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কিনা, তা পরিষ্কার করতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিও আহ্বান জানান এরদোগান। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু কালের গহ্বরে হারিয়ে যাবেন।
এদিকে এরদোগানের ‘নৈতিকতাবিষয়ক’ কোনো লেকচার শুনবেন না বলে নেতানিয়াহু এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন। এরদোগান ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তুরস্ক থেকে কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার পর এখন আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবার ঘোষণা দিয়ে ইসরাইল। সেই দেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়া জার্মানিতে সফরে যাচ্ছেন তিনি। আবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজও গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে একাধিকবার নিজ অবস্থান জানিয়েছেন।
গত রোববারও যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বা দীর্ঘ সময়ের জন্য সংঘাত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তকে আমি ঠিক বলে মনে করি না। এতে করে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা অর্জন করবে হামাস।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)