হয়রানি থেকে নিষ্কৃতি পেতে কলারোয়ার এক ভাংড়ি ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন


সাতক্ষীরায় নিজের ক্রয়করা জমিতে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস ও প্রতিপক্ষদের দ্বারা ক্ষয়ক্ষতি থেকে নি®কৃতি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এক ভাংড়ি ব্যবসায়ী।
বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান, জেলার কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত মহব্বত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ডিপি ৫৭২ খতিয়ানের এস.এ ৯১০ ও ৯১২ এবং হাল ১৫৮২ দাগের মোট ৪৯ শতক জমির মধ্যে ১৯ শতক জমি বদিরন নেছা ও কুলছুম বেগমের কাছ থেকে ১৯৯৭ সালে কোবলা দলিল মূলে রেজিস্ট্রি করে নেই। সেই থেকে অদ্যবধি ওই জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছি। কিন্তু করোনা মহামারি চলাকালে গত ১ জুন আলাইপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম, ইমদাদুল ইসলাম, নুর ইসলাম, ইমানুর, শাহিন খান ও ওসমান আলী খান লোকজন নিয়ে লোহার রড, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বসত ঘর সহ জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে। এমনকি তারা জোরপূর্বক আমার ভিটাবাড়ির একাংশের ৯ শতক জমি দখল করে মাঝ বরাবর ঘর তৈরী করে। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারপিট করে। এঘটনায় থানায় ডায়েরী করে কোন সহযোগিতা পাইনি। মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার জমিতে ঘর তৈরী করে নজরুল গংরা বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার চেষ্টা করলে কলারোয়া বিদ্যুৎ অফিসে সংযোগ বন্ধের জন্য আবেদন করি। কিন্তু বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আমার আবেদনের কোন প্রতিকার না করে জোরপূর্বক সংযোগ দিয়ে দেয়। এছাড়া আমার জমিতে লাগানো লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গাছালি কেটে নেয়। এঘটনার পর গত ১২ নভেম্বর আদালতে মামলা (নং-২৯৯/২০) দায়ের করলে কলারোয়া থানায় তদন্ত দেয়। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমি আশানুরূপ সহযোগিতা পাচ্ছি না।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন সাধারণ দরিদ্র অসহায় মানুষ। গ্রামে গ্রামে ভাংগি ব্যবসা করে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। আমি এখনো ওই জমি দখল মুক্ত করতে পারিনি। জমি ছেড়ে দিতে বলে নজরুল গংরা আমাকে মারপিট ও খুন জখমের পাশাপাশি মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি ধামকি দেয়। এবিষয়ে ৫ নভেম্বর থানায় জিডি করি। এদিকে তাদের অত্যাচারে অতিষ্টি হয়ে ১৪৫ ধারায় প্রতিকার দাবি করে গত ২৭ অক্টোবর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি দরখাস্ত করি। যার তদন্ত চলমান। পরবর্তীতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৮ নভেম্বর কলারোয়া থানায় আরো একটি জিডি করি। এসব দরখাস্ত করার পর নজরুল গংরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ নভেম্বর আমাকেসহ পরিবারের লোকজনের উপর চড়াও হয়ে মারপিট করে। নিরুপায় হয়ে উল্লেখিত ঘটনা সমূহের প্রতিকার চেয়ে ও জমি দখল মুক্ত করার দাবিতে গত ২২ নভেম্বর সাতক্ষীরা পুরিশ সুপার বরাবর আবেদন করি। কিন্তু তারপরও তারা বহাল তবিয়তে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখল করে রেখেছে এবং সর্বদা আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি।
তিনি উক্ত জমিতে যাতে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করতে পারেন এবং উল্লেখিত নজরুল গংরা যেন তার ও পরিবারের কোন ক্ষয়ক্সতি করতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা পুরিশ সুপার সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
