বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

৩ যুগ পর হারানো তালার একলিমার সন্ধান মিলল পাকিস্তানে

একলিমা বেগম (৬৫) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল শেখের মেয়ে ও তিন সন্তানের জননী। স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

১৯৮১ সালের কোনো এক দিন হারিয়ে যান একলিমা বেগম। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে সন্ধান মিলছে তার। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।

দীর্ঘ ৪১ বছর পর পাকিস্তানের শিয়ালকোটের দিলওয়ালীতে খোঁজ মিলেছে তার। কিভাবে তিনি সেখানে পৌঁছালেন সেটি বলতে পারছেন না তিনিসহ কেউই।
একলিমা শুধু মনে করতে পারছেন, তার বাবা-মাসহ ভাই ও তালার গঙ্গারামপুর গ্রামের নামটি।

পাকিস্তানের শিয়ালকোটের দিলওয়ালীতে পরিবারের সঙ্গে অবস্থানরত একলিমা মৃত্যুর আগে অত্যন্ত একবার নিজ মাতৃভূমিতে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন। সেখানে তার পরিবারের সদস্যরা সেটি ভিডিও করে ফেসবুকে যশোরের একটি গ্রুপে পোস্ট করেন।

তাদের করা ভিডিওটি চোখে পড়ে একলিমা বেগমের বড় ভাই মৃত মকবুল শেখের ছেলে মো. জাকির শেখের। ভিডিওতে একলিমার বলা নামগুলো তার দাদা-বাবা ও চাচাদের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তিনি বিষয়টি বাড়িতে আলোচনা করেন। ভিডিও দেখিয়ে নিশ্চিত হন, ভিডিওর একলিমা বেগমই তার হারিয়ে যাওয়া ফুফু। এরপর তারা পারিবারিকভাবেই ভিডিও কলে যোগাযোগ করেন একলিমার সঙ্গে।

একলিমা বেগমের ছোট ভাই ইব্রাহিম শেখ জানান, সেসময় আমাদের অনেক অভাব ছিল। তার স্বামী মারা গেলে সে যেন প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিল। পরে কীভাবে যে পাকিস্তানে চলে যায়, তা আমরা কেউই জানি না। কয়েকদিন আগে তার খোঁজ পেয়েছি। আমরা চাই সে ফিরে আসুক।

একলিমা বেগমের বড় ভাই মৃত মকবুল শেখের ছেলে জাকির শেখ বলেন, কিছু দিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ফুফু একলিমার খোঁজ পাই। তারপর থেকে তার সঙ্গে বাড়ির সবার নিয়মিত কথা হচ্ছে। তিনি আমাদের এখানে আসতে চান। এজন্য তাদের কাছে ইনভাইটেশন লেটার পাঠানো হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দূতাবাস সহযোগিতা করলে তিনি আসতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, ফুফুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তিনি পাকিস্তানের একটি শেল্টার হোমে ছিলেন। সেখানে মুহাম্মদ সিদ্দিক নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন। মুহাম্মদ সিদ্দিক কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। সেখানে তাদের পরিবারে দুটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে রয়েছে। আমরা চাই তারা এখানে বেড়াতে আসার সুযোগ পাক। এজন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি।

একলিমা বেগমের প্রথম ঘরে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে হেকমত আলী কাজ করেন ঢাকার একটি কারখানায়।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, এটা খুব ভালো খবর, একলিমাকে দেশে আসার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান টেকসই প্রত্যাবাসন : কাতারে আলোচনায় ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট কেবল একটি মানবিক সমস্যা নয়; এটি একটি বহুমাত্রিক সংকট, যারবিস্তারিত পড়ুন

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬

জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২ বিদেশিসহবিস্তারিত পড়ুন

যে কোনো মূল্যে আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে: তারেক রহমান

যে কোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখার কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেকবিস্তারিত পড়ুন

  • পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
  • বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনাসদস্য নেবে কাতার
  • হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল করছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
  • সম্পর্ক জোরদার করতে সৌদি আরব গেলেন মোদী
  • রেকর্ড উচ্চতায় সোনার দাম, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও!
  • টিউলিপ প্রকাশ্যে বলছেন বাংলাদেশি নন, তথ্যপ্রমাণ বলছে ভিন্ন কথা
  • মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি
  • বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র
  • বিড়ালপ্রেমী তারেক রহমান, ফেসবুকে ভাইরাল
  • বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  • ‘লিডার, মটিভেটর, মেনটর’
  • বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেশটির জনগণ নির্ধারণ করবে : যুক্তরাষ্ট্র