বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

৩ যুগ পর হারানো তালার একলিমার সন্ধান মিলল পাকিস্তানে

একলিমা বেগম (৬৫) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল শেখের মেয়ে ও তিন সন্তানের জননী। স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

১৯৮১ সালের কোনো এক দিন হারিয়ে যান একলিমা বেগম। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে সন্ধান মিলছে তার। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।

দীর্ঘ ৪১ বছর পর পাকিস্তানের শিয়ালকোটের দিলওয়ালীতে খোঁজ মিলেছে তার। কিভাবে তিনি সেখানে পৌঁছালেন সেটি বলতে পারছেন না তিনিসহ কেউই।
একলিমা শুধু মনে করতে পারছেন, তার বাবা-মাসহ ভাই ও তালার গঙ্গারামপুর গ্রামের নামটি।

পাকিস্তানের শিয়ালকোটের দিলওয়ালীতে পরিবারের সঙ্গে অবস্থানরত একলিমা মৃত্যুর আগে অত্যন্ত একবার নিজ মাতৃভূমিতে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন। সেখানে তার পরিবারের সদস্যরা সেটি ভিডিও করে ফেসবুকে যশোরের একটি গ্রুপে পোস্ট করেন।

তাদের করা ভিডিওটি চোখে পড়ে একলিমা বেগমের বড় ভাই মৃত মকবুল শেখের ছেলে মো. জাকির শেখের। ভিডিওতে একলিমার বলা নামগুলো তার দাদা-বাবা ও চাচাদের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তিনি বিষয়টি বাড়িতে আলোচনা করেন। ভিডিও দেখিয়ে নিশ্চিত হন, ভিডিওর একলিমা বেগমই তার হারিয়ে যাওয়া ফুফু। এরপর তারা পারিবারিকভাবেই ভিডিও কলে যোগাযোগ করেন একলিমার সঙ্গে।

একলিমা বেগমের ছোট ভাই ইব্রাহিম শেখ জানান, সেসময় আমাদের অনেক অভাব ছিল। তার স্বামী মারা গেলে সে যেন প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিল। পরে কীভাবে যে পাকিস্তানে চলে যায়, তা আমরা কেউই জানি না। কয়েকদিন আগে তার খোঁজ পেয়েছি। আমরা চাই সে ফিরে আসুক।

একলিমা বেগমের বড় ভাই মৃত মকবুল শেখের ছেলে জাকির শেখ বলেন, কিছু দিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ফুফু একলিমার খোঁজ পাই। তারপর থেকে তার সঙ্গে বাড়ির সবার নিয়মিত কথা হচ্ছে। তিনি আমাদের এখানে আসতে চান। এজন্য তাদের কাছে ইনভাইটেশন লেটার পাঠানো হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দূতাবাস সহযোগিতা করলে তিনি আসতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, ফুফুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তিনি পাকিস্তানের একটি শেল্টার হোমে ছিলেন। সেখানে মুহাম্মদ সিদ্দিক নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন। মুহাম্মদ সিদ্দিক কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। সেখানে তাদের পরিবারে দুটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে রয়েছে। আমরা চাই তারা এখানে বেড়াতে আসার সুযোগ পাক। এজন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি।

একলিমা বেগমের প্রথম ঘরে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে হেকমত আলী কাজ করেন ঢাকার একটি কারখানায়।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, এটা খুব ভালো খবর, একলিমাকে দেশে আসার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

নেপালে জেন জি বিক্ষোভ: সাবেক প্রধানমন্ত্রী-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পেটালো ক্ষুব্ধ জনতা

নেপালে জেন জি বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত রয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নেপালিবিস্তারিত পড়ুন

এবার নেপালের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

নেপালে টানা বিক্ষোভ ও সহিংসতার মুখে এবার পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্রবিস্তারিত পড়ুন

আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রবাসীরা, সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আছে: ইসি সচিব

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)বিস্তারিত পড়ুন

  • বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া পেরিয়ে লঙ্কার আগুন নেপালে
  • নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি বার্তা
  • বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
  • নেপালে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন
  • বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, ফেসবুক-ইউটিউব-এক্স বন্ধ
  • ‘জেন-জি’ বিক্ষোভে র*ক্তাক্ত নেপাল, নিহ*ত ১৪
  • চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে দেশে যত ভুল ধারণা
  • যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদ
  • মোদি যাচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রে
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা
  • প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প
  • বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশে ঘটতে যাচ্ছে আরেক ‘জুলাই বিপ্লব’?