শুক্রবার, আগস্ট ১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

শেখ শাকিল হোসেন

বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের উত্থানে যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সেটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। বায়ান্ন ’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ঊননব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সবখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার জৌলুশ দেখিয়েছে। বলা হয়ে থাকে, এটি পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছে। অন্যায়-অবিচারের প্রশ্নে যে প্রতিষ্ঠানটি কোনদিন আপোষ করেনি, আজ সেই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।

বিগত ৯ দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে হাফিজুর রহমান তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যথারীতি থানায় অভিযোগও করা হয়।

নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় গতকাল (২৩ মে) হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ঈদের পরের দিন (১৫ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এতগুলো দিন তার লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টা বাদ দিলাম। হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেই বিতর্কও বাদ দিলাম। তবুও, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এ ঘটনার দায় কিভাবে এড়াতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই তার মৃতদেহ পাওয়া গেল। আর সেটা যে হাফিজুর রহমানের লাশ, এটা শনাক্ত করতে ৯ দিন চলে গেল! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদৌও এই ঘটনাটা জানতো? ওয়াকিবহাল থাকাটা প্রশাসনের দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া শিক্ষার্থীর লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে দিনের পর দিন মর্গে থাকছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। আমরা এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই না।

 

 

লেখক:
শেখ শাকিল হোসেন,
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সভাপতি, সাতক্ষীরা স্টুডেন্ট সোসাইটি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার তাজকিন আহমেদ চিশতির

আবু সাঈদ সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় নাগরিক দুর্ভোগ লাঘব ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণেরবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় শহিদদের স্মরণে মার্চ ফর জার্টিস পালিত আইনজীবী ফোরামের

আবু সাঈদ : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ‍্যোগে পদযাত্রাবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ

হাফিজুল ইসলাম : সাতক্ষীরা সদরে (২০২৪-২৫) অর্থবছরে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষিবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরার পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ হোসেন খান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
  • সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
  • নানা আয়োজনে সাতক্ষীরায় পালিত হলো মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বষপূর্তি
  • সাতক্ষীরায় “আমার চোখে জুলাই বিপ্লব” শীর্ষক প্রতিযোগিতা
  • সাতক্ষীরার খেজুরডাঙ্গা হাইস্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
  • সাতক্ষীরায় ঋশিল্পীর আমার সোনার পরিবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  • ‘আপ বাংলাদেশ’ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি: আহবায়ক আক্তার, সদস্য সচিব আবিদ
  • ফেনসিডিল রাখার দায়ে সাতক্ষীরায় যুবকের ১০ বছরের কা/রা/দ/ণ্ড
  • সাতক্ষীরায় স্কুল টাইমে রমরমা কোচিং বাণিজ্য!
  • সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম’র সাংগঠনিক সভা
  • সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধিতে সভা
  • সাতক্ষীরায় অসুস্থ সাংবাদিক দেলোয়ারের পাশে সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ