জমি উদ্ধারে নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ
কলারোয়ায় দুই সরকারী বিদ্যালয়ের ৬২শতক জমিতে ধান ও সরিসা চাষ
জুলফিকার আলী, কলারোয়া(সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দুইটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি
দখল করে ধান-সরিসা চাষ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতিমধ্যে উক্ত জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ঘটনাটি ঘটেছে-উপজেলার হরিনা-গোয়ালচাতর
১২১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের ৩৩শতক জমির মধ্যে ১২শতক জমি পাশ্ববর্তী হরিনা গ্রামের মৃত শামসের আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম, ইজারুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম দখল করে ধান ও সরিসা চাষ করে খাচ্ছে বহু দিন ধরে।
সরকারী বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ড ও দলিল থাকলেও জোর করে তারা ওই জমি দখল করে নিয়েছে। এবিষয়টি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ হোসেনের নজরে আসলে তিনি সম্প্রতি সরকারী বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অন্যদিকে উপজেলার পূর্ব বোয়ালিয়া ৫৮ নং সরকারী
বিদ্যালয়ের নামে ৬৮শতক জমি থাকলেও বর্তমানে শুধু মাত্র স্কুলের ভবন ছাড়া আর কোন জমি দখলে নেই। প্রায় ৫০ শতক জমি আমিনুর রহমান, আব্দুর রহমান,
শামসু বিশ্বাসসহ অন্যরা দীর্ঘ দিন দখল করে ধান-সরিসা চাষ করে খাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অথচ সরকারী বিদ্যালয়ের নামে দলিল ও রেকর্ড থাকায় প্রতি বছর ৬৮শতক জমির খাজনা দিচ্ছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এবিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশাদ আলী বলেন-তিনি চাকুরি করতে এসেছেন। এলাকার মানুষের সাথে ঝগড়া বিবেধ সৃষ্টি করতে চান না।
এদিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন-প্রতিষ্ঠানের নামে দলিল ও রেকর্ড আছে
৬৮শতক জমির। কিন্তু এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি ওই জমি সব দখল করে রেখেছে। তারা স্কুলের জমিতে ধান-সরিসা চাষ করে খাচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা
অফিসার এইচএম রোকনুজ্জামান বলেন-তিনি কিছুই জানতেন না।
সম্প্রতি হরিনা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ হোসেনের দেয়া দরখাস্ত পেয়ে অবগতি হয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে সরকারী বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী
অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এছাড়া তিনি আরো বলেন-পূর্ব বোয়ালিয়া সরকারী স্কুলে গিয়েছিলেন একটি ওয়াশ বøক করার জন্য।
সেখানে জমি না থাকায় ওয়াশ ব্লক করতে পারেন নি। অথচ বিদ্যালয়ের নামে দলিল ও রেকর্ড আছে ৬৮শতক
জমি। বাস্তবে দেখা যায় জমি সব বিভিন্ন মানুষ দখল করে চাষাবাদ করে খাচ্ছে।
এসব তথ্য কোন সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানায়নি। তিনি আরো বলেন- অতিদ্রæত ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে
নিয়ে জমি উদ্ধারের জন্য দরখাস্ত নেয়া হবে। এদিকে সরকারী বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সু-দৃষ্টি কমানা করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)