বাগআঁচড়ায় অনুমতি বিহীন ক্লিনিকে অপারেশন, ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করে বিজ্ঞাপন
অনুমতি ছাড়াই যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া বাজারে আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বন্ধকরা ক্লিনিক গুলোতে আবারো কার্য্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাগআঁচড়া ও নভারনের ১০ টি ক্লিনিকে গত মাসে লাইসেন্স নবায়ন সহ স্বাস্থ্যগত নিয়ম মেনে ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিলো জেলা সিভিল সার্জন। তারা দু’তিনটি ক্লিনিক ছাড়া বাকী ক্লিনিক গুলোর কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলো। কিন্তু সিভিল সার্জনের নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বাগাঁচড়া আখি টাওয়ারে অবস্থিত আল-মদিনা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কতৃপক্ষ রীতিমত ফেসবুকে ছবিসহ পোষ্ট দিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে অপারেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে অপারেশনের ভিতিকর ছবি পোষ্ট করায় রিতিমত হৈ চৈ পড়ে গেছে সচেতন মহলে। তাদের পোষ্টকরা ছবিতেই দেখা গেছে সম্পুর্ন স্বাস্থ্যবিধী লঙ্ঘন করে অস্বাস্থ্যকর ও অব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে অপারেশন থিয়েটারে জনৈক রোগীকে অপারেশন করা হচ্ছে।
গত মাসে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলার বাগআঁচড়া ও নাভারণের ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে নবায়নের নির্দেশ দেন। এবং ক্লিনিক গুলির ত্রুটি সংশোধনের পরামর্শ দেন। তবে তিনি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেন।
এবং ১০ টির মধ্যে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদানের জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে সময় একটিকে স্থায়ীভাবে এবং ছয়টি প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজিক্যাল ল্যাব বন্ধ করে দেয়া হয়।এবং শুধুমাত্র বাগআঁচড়ার জোহরা ক্লিনিক, জনসেবা ক্লিনিক ও মুক্তি ক্লিনিকের লাইসেন্স প্রদানের সুপারিশ করা হয়।অন্যান্য ক্লিনিকে কোনো ডিপ্লোমা পাশ নার্স এবং প্যাথলজি বিভাগে কোনো টেকনোলজিস্ট না থাকায় আল মদিনা ও পল্লী ক্লিনিক সহ বাকি ক্লিনিকগুলোর প্যাথালজি ও অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
সিভিল সার্জনের নির্দেশ অমান্য করে, সিলগালা করা ক্লিনিকগুলো আবারো সক্রীয় হয়ে উঠেছে।তারা গলাকাটা বাণিজ্যে নেমে পড়েছে। বাগআঁচড়া আল মদিনা প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে শুধুমাত্র মেকেইন পরে রোগী অপারেশন করতে দেখা গেছে তাদেরই পোষ্ট করা ছবিতে। ঘটনাটি দেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসরা বিশ্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন এভাবে অস্বাস্থ্যকর ও অব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে অপারেশ করলে রোগীর ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এব্যাপারে আল মদিনা হাসপাতালের পরিচালক কামরুজ্জানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা কাগজপত্র জমা দিয়েছি এবং অপারেশন করানোর অনুমতি আছে।
যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা.শেখ আবু শাহিন বলেন, বন্ধকরা ক্লিনিক গুলোতে লাইসেন্স নবায়নসহ সময় দেওয়া হয়েছিল তাদের ত্রুটি গুলো সংশোধন করার জন্য,কিন্তু তাদের কোনো কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদি তারা নির্দেশ অমান্য করে কাজ করে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)