বিশ্বসেরা উপাদানের ব্যবহার, পদ্মা সেতু টিকবে ১০০ বছরের বেশি


পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে বিশ্বসেরা উপাদান। ব্যবহারের আগে নিশ্চিত করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মান। পরামর্শক প্যানেলের অনুমোদন ছাড়া প্রকল্পের কাজে কোন উপাদান ব্যবহার করতে পারছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে সেতুর কার্যকাল ১০০ বছর ধরা হলেও তার চেয়ে বেশি মেয়াদে এটি টিকে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডের বিশালত্ব এবং কর্মযজ্ঞ দেখলে যে কেউ টের পাবেন বিশ্বের অন্যতম সেরা নির্মাণকাজ চলছে এখানে। পদ্মা সেতুর কাজে যে উপাদানগুলো ব্যবহার হচ্ছে সেগুলোকে উপযোগী করে তুলতে কাজ করা হয় বিশাল এ এলাকাজুড়ে।
সেতুর পিলার তৈরিতে যে স্টিলের টুকরো ব্যবহার হয়েছে তার সবগুলোই এসেছে চীন থেকে। একইভাবে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যান জোড়া দেয়ার কাজ দেশে হলেও এ কাঠামোর স্টিলের টুকরোগুলো এসেছে চীন থেকে।
সংযোগ সড়ক থেকে শুরু করে সেতুর নির্মাণকাজে যে পাথর ব্যবহার হয়েছে তা আনা হয়েছে ভিয়েতনাম, দুবাই, ভারত ও ওমান থেকে। দেশের মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনি থেকে বাছাই করা পাথরের একটি অংশও ব্যবহার হয়েছে এ সেতুতে।
তবে সেতুর বড় একটি অংশ জুড়ে ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশের উপাদানও। প্রকল্পের পিলার, ভায়াডাক্ট, সংযোগ সড়কসহ প্রতিটি কাজে যত রড ব্যবহার হচ্ছে, তার শতভাগই দেশীয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে অল্প পরিমানে মিহি সিমেন্ট আনা হলেও বেশিরভাগ সিমেন্টই ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশি কোম্পানির।
সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, সেতু পাইল ১২০ মিটার থেকে ১২৮ মিটার মাটির গভীরে গেছে। যা বিশ্ব রেকর্ড। আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড হলো প্রতিটি স্প্যান ৩২-৩৩ টন ওজনের। যেগুলো সেতুর পিলারের উপর বসানো হয়।
স্প্যানের উপর ও নিচের অংশে বসাতে নির্মাণাধীন রোড স্ল্যাবের সিমেন্ট ও রড ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশের। তবে রেলওয়ে স্ট্রিনজারগুলো আনা হচ্ছে লুক্সেমবার্গ থেকে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
