বেনাপোল চেকপোস্টে প্রতারণা ও জাল ভ্রমণ ট্যাক্সের অভিযোগে ১০ দোকানে তালা
এম ওসমান, বেনাপোল : যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে দেশ-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের সাথে প্রতারণা, ছিনতাই ও ভ্রমণকর জালিয়াতির অভিযোগে ১০টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
তবে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে আগে থেকে দোকান ফেলে পালিয়ে যায় প্রতারকরা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে শারমিন ও জাকির নামে দুই পাসপোর্টধারীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা প্রতারণা করে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এসব দোকানে তালা দেয় পোর্ট থানার পুলিশ।
এর আগেও একাধিকবার এসব দোকানে তালা ঝুলিয়ে প্রতারকদের আটক করা হয়। তবে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এরা লালিত থাকায় বারবার ছাড়া পেয়ে আবারও প্রতারণায় যুক্ত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতারকরা বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন ও বন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে থেকে দ্রুত পাসপোর্টে কাজ করিয়ে দেয়ার নাম করে এসব দোকানে বসাতো যাত্রীদের। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণার মধ্যে জাল ভ্রমণ কর রশিদ তৈরী, কখনও সাথে থাকা টাকার নাম্বার লেখার কথা বলে কৌশলে হাতিয়ে নিত অর্থ। এদের কেউ দোকানের নাম আবার কেউ নাম বিহীন ঘরে এসব প্রতারণার কার্যক্রম চালাতো।
প্রতারণার অভিযোগে তালা ঝুলানো দোকান ও দোকানের মালিকেরা হলেন- চৌধুরী মার্কেটের রবিউল ইসলামের মধুমতি স্টোর, ইবাদত হোসেন, মফিজুর রহমান, আমিন উদ্দিন মসজিদ মার্কেটের ইয়ামিন, ঢাকা হোটেলের পিছনে রিংকু মিয়া, রাজলক্ষ্মী স্টোরের মুসা, রেজাউল মার্কেটে মিলন ও হোটেল ফ্রেসের এর পাশে শহিদুলের দোকান।
গত তিন মাসে বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্যাকসিন সনদ জালিয়াতি, যাত্রী হয়রানি ও নানান ধরণের প্রতারণার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শাওন এন্টারপ্রাইজে ৪ বার তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ। দোকানটি মালিক শাহিন মনিরামপুরের কাঠালতলা গ্রামের হাসান গাজীর ছেলে। তার সহযোগী হাসানের বাড়ি বেনাপোলের কাগজপুকুরে। এছাড়া বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের মমিনের ছেলে শামিমকে এক মাসের মধ্যে দুইবার জাল ট্যাক্সসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, যাত্রিদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে চেকপোস্ট এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১০টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগেও
এমন অভিযোগে কয়েকটি দোকানে তালা মারা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)