লাবসা ইউপি পরিষদে ওয়ারেশকামে তথ্য গোপন করে জমির নামপত্র করার অভিযোগ
লাবসা ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গায় ওয়ারেশ ফাঁকি দিয়ে জমির নামপত্র করে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গার গ্রামের জিতেন্দ্র নাথ সরকারের প্রথম স্ত্রী পানো বালা সরকারের নামে বিনেরপোতা মৌজার জেএল ৭২১ নং খতিয়ান ও ২২৪ দাগের ১৮ কাটা রেকর্ডী সম্পত্তি রয়েছে।
কয়েকবছর আগেই পানো বালা সরকার দুই মেয়ে বাসন্তী টুনি ও শ্যামলী সরকারকে রেখে মারা যায়। উক্ত পানো বালা সরকার মারা যাওয়ায় তার ওয়ারেশ সূত্রে এই জমির মালিক দুই বোন বাসন্তী টুনি ও শ্যামলী সরকার। বাসন্তী টুনির স্থানীয় স্বজনরা জানান, বাসন্তী টুনির বিয়ের পর অনুমান পাঁচ বছর পূর্বে সে ভারতে স্বামীর বাড়িতে চলে যায়।
এরপর বাসন্তী টুনি তার পিতার বাড়িতে নিয়মিত বেড়েতে আসতো বলে স্থানীয়রা জানান। একপর্যায়ে পানো বালা সরকারের নামনীয় জমির ওয়ারেশ বাসন্তী টুনি ও শ্যামলী সরকার। কিন্তু বাসন্তী টুনি ভারতে স্বামীর বাড়ি থাকার সুবাদে বাসন্তী টুনির পিতা জিতেন্দ্র নাথ সরকার তার বোন শ্যামলী সরকার কয়েকদিন আগে লাবসা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বাসন্তী টুনির নাম পরিচয় ও তথ্য গোপন করে বাসন্তী টুনির বোন শ্যামলী নামে ওয়ারেশকাম নেয় এবং ভুমি অফিস থেকে জমির নামপত্র করে বাসন্তী টুনির পিতা জিতেন্দ্র নাথ সরকার। তবে ওই নামপত্র করা জমি বাসন্তী টুনির বোন শ্যামলী সরকার বিক্রি করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বাসন্তী টুনির স্বজনরা।
বাসন্তী টুনির পিতা জিতেন্দ্র নাথ সরকারের সাথে এবিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন আমার প্রথম স্ত্রী পানো বালা সরকারের পক্ষে দুই মেয়ে বাসন্তী টুনি ও শ্যামলী। আমার বাসন্তী মেয়েটি ভারতে স্বামীর বাড়ি আছে। আর এই দেশে ফিরে আসবে না, তাই আমার আরেক মেয়ে শ্যামলীর নামে ওয়ারেশকাম নিয়ে জমি নামপত্র করেছি। লাবসা ইউপি ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, জিতেন্দ্র নাথ সরকারের মুখে শুনেছি তার দুই মেয়ে সন্তান ছিল।
জিতেন্দ্র নাথ সরকারের কাছ থেকে একটি এভিডেভিড অঙ্গিকারনামা দেয়। তাই তার এক মেয়ের নামে ওয়ারেশকাম দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, জিতেন্দ্র নাথ সরকারের দুই মেয়ে সন্তান। এক মেয়ে ভারতে একেবারে চলে গেছে আমি শুনেছি। তবে ইউপি মেম্বারের সনাক্তকে তাদের ওয়ারেশকাম দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাসন্তী টুনির স্বজনরা সহ এলাকাবাসী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)