আগামি ইউপি নির্বাচন
সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গায় ভোটের মাঠে নতুন সমিকরণ, মাঠে নেই বিএনপি, সুবিধায় আ.লীগ


আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের জটিল সমিকরণ ও সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারনায় জমে উঠেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের চায়ের দোকানগুলি।
সম্প্রতি সুশাসন ও দূর্নিতীমুক্ত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সহ-সভাপতি ও ঝাউডাঙ্গা মহা-শ্বশান ও মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়দেব কুমার ঘোষ চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা দেয়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আজমল উদ্দীনসহ অন্য প্রার্থীদের ভোটের লড়াই শক্ত হতে পারে।
অপরদিকে, বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নাশকতসহ বিভিন্ন মামলাজটে প্রচারনায় পিছিয়ে থাকলেও দলীয় নেতা-কর্মিদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে ইউনিয়নে জামায়াতের প্রার্থী না থাকায় আ.লীগ দলীয় ভোটের মাটের লড়াইয়ে রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউনিয়নে তরুন ভোটার বৃদ্ধি ও ভোটের সমিকরণ জটিল হয়ে পড়ছে। বিগত দিনে অনিয়ম ও স্বজন-প্রীতির কারণে অনেক প্রার্থীর ভোটের দৌড় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। এছাড়া সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও তরুন ভোট নির্বাচনের ফলাফলে ফ্যাক্ট হতে পারে। বর্তমান চেয়ারম্যান আজমল উদ্দীন পুনরায় নৌকা প্রতিক পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন সাজু ও সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন দলীয় মনোনয়নের জন্য দাবিদার বলে জানা গেছে।
স্বাভাবিকভাবে আগামি নির্বাচনে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে।
ফলে নৌকা, ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের নির্বাচনী ইতিহাসে মূলত নৌকা, ধানের শীষ ও জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা হয় কিন্তু এবার জামায়াতের প্রার্থী না থাকায় পাল্টে গেছে ভোটের মাঠের সমিকরণ। তবে ভোটযুদ্ধ হতে পারে আ.লীগ কিংবা আ.লীগ ঘরণার স্বতন্ত্র অন্য কোন প্রার্থীর সাথে বিএনপি দলীয় প্রার্থীর মধ্যে।
ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছর যাবত গনসংযোগ ও করোনাকালীন সময়ে আ.লীগ দলীয় নেতা-কর্মিদের সাথে নিয়ে গরীব, অসহায় ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকে বিভিন্ন সহযোগিতা করায় ইউনিয়নে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রার্থীদের পক্ষে পোস্টার-ব্যানার টানানো শুরু হয়েছে। ইউনিয়নে প্রায় ৩২ হাজার ভোটের মধ্যে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও তরুন ভোট রয়েছে ১১ হাজারের অধিক।
অন্যদিকে, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আজমল উদ্দীন ও বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের পক্ষে-বিপক্ষে জনমত রয়েছে।
সব মিলিয়ে সাধারণ ভোটাররা এবার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জনবান্ধব ব্যক্তিকে দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার। এর মধ্যে মহিলা ও পুরুষ ভোট প্রায় সমান।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
