সাতক্ষীরায় মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতির দাবিতে দ্বীনমজুরের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে না পেরে প্রতিপক্ষ কর্তৃক মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি এবং খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সন্ধায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পাটকেলঘাটা থানার মঙ্গল আনন্দকাটি গ্রামের মৃত. লোকমান গোলদারের ছেলে দ্বীনমজুর মোঃ আব্দুল মুজিদ এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মঙ্গল আনন্দকাটি গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাজীর ছেলে ইউনুছ আলী তার দুই ফুফুর কাছ থেকে খলিষখালী মৌজায় ৪ শতক জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি একই এলাকার মৃত. আফতাব শেখের ছেলে শেখ আব্দুর রাজ্জাক অবৈধভাবে ইউনুছ আলীর ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি আমি শ্রমিক হিসেবে ইউনুছের ঘর মেরামতের কাজ করছিলাম। এসময় আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী মনোয়ারা, ছেলে রবিউল শেখ, জলিল শেখের ছেলে হাদিস শেখ, শরিফুল শেখ, মৃত. রহমানের ছেলে মিজানুর শেখসহ ১০/১২জন আকস্মিক উক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ করে ইউনুছের মাতা ছকিনাকে মারপিটসহ আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
শ্রমিক মোঃ আব্দুল মুজিদ আরো বলেন, আমার জখম গুরুতর হওয়ায় সকলেই চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে সুচতুর শেখ রাজ্জাক প্রথমে পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা দায়েরের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে রাজ্জাকের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে বিনেরপোতায় ঘটনাস্থল দেখিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় আমাদেরকে আসামী করে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। তারা মারপিট ও কুপিয়ে আমাকে জখম করলো অথচ আমাকেসহ ঢাকায় অবস্থানকারি ইউনুছ আলী এবং শাহীন হোসেনসহ কয়েকজনকে মামলার আসামী করেছে। এছাড়া ১৬ ফেব্রুয়ারি তাদের মারপিটে আহত হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তাহলে হাসপতালে ভর্তি থেকে কিভাবে তাদের মারপিট করতে গেলাম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ছাড়পত্রে আমার শারিরীক আঘাতের বিষয়টি উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে রাজ্জাক কৌশলে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে আমার কোন আঘাত হয়নি মর্মে রিপোর্ট প্রদান করিয়েছে। আমার মাথার ৪টি এক্সেরে করা হয়। কিন্তু ছাড়পত্র দেয়ার সময় হাসপাতাল থেকে আমাকে কোন এক্সরে রিপোর্ট দেয়া হয়নি। পরে আমি অন্যত্র থেকে এক্সরে করি দেখি স্পস্টভাবেই আমার মাথার হাড় ফাটা রয়েছে। আমি একজন অসহায় দ্বীনমজুর মানুষ। জীবিকার তাগিদে ইউনুছ আলী ঘর মেরামতের কাজে গিয়েছিলাম। অথচ আজ মিথ্যো মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। সুচতুর আব্দুর রাজ্জাক অর্থশালী এবং প্রভাবশালী হওয়ায় অবৈধভাবে ইউনুছ আলীর সম্পত্তি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি ও মামলাবাজ আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)