শুক্রবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৫
প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

১৮ বছর পর সব মামলায় খালাস পেলেন বাবর, কাঁদলেন স্ত্রী

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন। তখন থেকে শুরু করে ১৭ বছর সাত মাস পর সব শেষ দণ্ডের মামলায় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) খালাস পেলেন তিনি।

এই রায়ের পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী। অপরদিকে সমর্থকেরা উল্লাসে মিছিল শুরু করে দেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালাসের রায় দেন।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী শিশির মনির।

এ বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৭৮ দিন রিমান্ডে রাখা হয়েছিল। রিমান্ডে রাখা অবস্থায় তাকে বার বার রাষ্ট্রপক্ষ চাপ দিয়েছিলেন, তিনি যেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িত করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি দিলে তাকে আসামি না করে সাক্ষী করা হবে। কিন্তু ৭৮ দিন রিমান্ডে থাকার পরও তিনি এ ধরনের জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। তিনি (বাবর) বলেছেন, এই মামলায় তাকে আসামি করার পেছনে এটিই মূল কারণ।

শিশির মনির আরও বলেন, কোর্ট বলেছেন— আজকেই একটি অ্যাডভান্স অর্ডার সই করে দেবেন। আমি আশা করি আজকেই এই আদেশ পৌঁছানো হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিনি জেল থেকে মুক্তি পাবেন। তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারে আছেন। কারাগারে আদেশ যথানিয়মে পৌঁছার পর তার স্বজন, আত্মীয়স্বজন এবং গুণগ্রাহী যারা আছেন, সবাই আইনকানুন মেনে বের করে যথা সম্মানে বাসায় পৌঁছে দেবেন। এই মামলায় ১৪ জনের সাজা হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচজন খালাস পেয়েছেন। ৫ জনের সাজা কমিয়ে দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুজনিত কারণে চারজনের আপিল বাদ হয়ে গেছে অর্থাৎ নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।

২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট মামলা থেকে খালাস পান তিনি। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছিলেন তিনি। বিএনপির এই নেতা দুর্নীতি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের (দুই মামলা) মতো ঘটনায় করা মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে খালাস পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর।

১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণ করেন লুৎফুজ্জামান বাবর। ১৯৯১ সালে প্রথমবার তিনি নেত্রকোণা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে লুৎফুজ্জামান বাবর ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

নির্বাচনি কার্যক্রমে ঢুকে যাওয়ার আগেই পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছি : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে থেকে যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, নির্বাচনি কার্যক্রমে ঢুকেবিস্তারিত পড়ুন

২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত : ইসি সচিব

সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেবিস্তারিত পড়ুন

দ্বিতীয় ধাপে আরো ১৫৮ ইউএনওকে বদলি

দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৮ বিভাগের ১৫৮ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) একযোগে বদলিবিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প
  • সিসিইউতে বেগম খালেদা জিয়া
  • ঠিকানা বিভ্রাটে ৭ দেশে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন স্থগিত করলো ইসি
  • ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে : ইসি সচিব
  • প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড
  • শেখ হাসিনার পক্ষে আদালতে না লড়ার ঘোষণা আইনজীবী জেড আই খান পান্নার
  • এরশাদ ও হাসিনার চরিত্রে কোনো পার্থক্য নেই : রিজভী
  • প্রবাসীরা যেকোনো সময় অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন করতে পারবেন: ইসি
  • বিশ্বের জনবহুল শহরের তালিকায় শীর্ষে জাকার্তা, দ্বিতীয় ঢাকা
  • এসপি পদায়নের লটারি কিভাবে হয়েছে, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সবই করা হবে : সিইসি
  • পশ্চিমা চাপ নেই, দিল্লি ও ফ্রান্স নিয়ে মুখ খুললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা