কলারোয়ায় সাবেক সাংসদ হাবিবের ভাবির জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সেজো ভাবি সুফিয়া খাতুন লিলি (৫৪) এর নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টায় কলারোয়া ফুটবল মাঠে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। পরে তুলশীডাঙ্গা ১নং ওয়ার্ডের পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমাকে দাফন করা হয়।
মরহুমা সুফিয়া খাতুন লিলি কলারোয়া বাজারের বই বিতান প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রজিবুল ইসলামের সহধর্মিণী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বর্তমানে কারারুদ্ধ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের বড় ভাবি এবং কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুলের বড় বোন।
জানাজা নামাজে ইমামতি করেন ঝাউডাঙ্গা সিনিয়র মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারি।
কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা তৌহিদুর রহমানের সঞ্চলানায় জানাজাপূর্ব আলোচনায় মরহুমার পরিবারের পক্ষ থেকে সমবেত মুসুল্লীদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন মরহুমার স্বামী বিশিষ্ট পুস্তক ব্যবসায়ী রজিবুল ইসলাম, কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া, দলুয়া শহিদ জিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু বকর ছিদ্দিক, ডা.আসাদুজ্জামান আসাদ, মরহুমার ছোটভাই কলারোয়া বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুল, শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবু, কে,এম আশরাফুজ্জামান পলাশ, তানভীর, রুবেল, অনিক প্রমুখ।
এর আগে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে মৃতের স্বজন তালা-কলারোয়ার সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কারারুদ্ধ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন ও সাবেক ছাত্রদল নেতা খালেদ মঞ্জুর রোমেলকে মরদেহ দেখানোর জন্য কারাগারে নেওয়া হয়।
স্বজনদের দেখা শেষে মরদেহ কারাগার থেকে কলারোয়ার ফুটবল মাঠে জানাজার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না..রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ৩ কন্যা, আত্মীয়-স্বজনসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমার ভাই সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুল জানান, গত মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে তাঁর বোনের শরীরে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, অস্ত্রোপচার সফলও হয়। সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বড় কোনো ত্রটি ধরা পড়েনি। অথচ বুধবার দুপুর থেকে শারীরিক অবস্থার ক্রম অবনতি ঘটতে থাকে। এরপর বিকেল ৪টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মরহুমার পিতার বাড়ি কলারোয়া পৌরসভার মির্জাপুর গ্রামে। তাঁর পিতার নাম মুছা আলি শেখ। আকস্মিক এই মৃত্যুতে এই পরিবারের ৩ কন্যা তুলি, তৈশী, ত্রয়ী শোকে পাথর হয়ে গেছে। শোকস্তব্ধ হয়ে গেছে গোটা পরিবার, স্বজনসহ প্রতিবেশীরা।
এদিকে, সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুলের বোন সুফিয়া খাতুন লিলির মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কলারোয়া প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)