রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

রয়টার্সের প্রতিবেদন: সেনাবাহিনীর যে বার্তায় পালিয়ে যান

ছাত্র ও জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার অনেকটা হঠাৎ করেই ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে হয় তাকে।

এর আগে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়ে দেয়, তারা প্রতিবাদ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আর দমনপীড়ন চালাতে পারবে না। এতেই তার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ ছাড়ার আগের রাতে সেনাপ্রধান তার জেনারেলদের নিয়ে একটি মিটিং করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, কারফিউ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর সেনারা আর গুলি ছুড়বে না। ওই মিটিংয়ের বিষয়ে জানেন এমন দুজন সেনা কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিদ্ধান্তের পরই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ছুটে যান গণভবনে। তিনি শেখ হাসিনাকে এই বার্তা দেন যে, তিনি যে লকডাউন আহ্বান করেছেন তা বাস্তবায়নে অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন তার সেনারা। ভারতীয় একজন কর্মকর্তাও এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে মেসেজ ক্লিয়ার হয়ে যায়। তা হলো— হাসিনার পক্ষে সেনাবাহিনীর আর কোনো সমর্থন নেই।

এতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদের কর্মকর্তাদের অনলাইন মিটিং এবং তারপর শেখ হাসিনাকে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এর আগে আর কোনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। শেখ হাসিনা ১৫ বছর যেভাবে শাসন করেছেন তাও উঠে আসে। বিন্দুমাত্র ভিন্নমত পোষাণ করেন এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। এসবের কারণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আর আকস্মিকভাবে সোমবার তার ইতি ঘটে। তিনি পালিয়ে চলে যান ভারতে।

এর আগে দেশজুড়ে কারফিউ দেওয়া হয়। তাতে রোববার কমপক্ষে ৯১ জন নিহত ও কয়েকশ মানুষ আহত হন। জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরুর পর এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির দিন।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, রোববার সন্ধ্যার আলোচনার বিষয়। তিনি বলেছেন, এটা ছিল নিয়মিত মিটিং। সেখানে আপডেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে বাড়তি প্রশ্ন করা হলে তিনি বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

রয়টার্স এসব নিয়ে ১০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। এর মধ্যে আছেন চারজন সেনা কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের অন্য দুজন সূত্র। তারা বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে নাম প্রকাশ করতে চাননি। গত ৩০ বছরের মধ্যে ২০ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন শেখ হাসিনা। জানুয়ারিতে তিনি টানা চতুর্থ দফায় নির্বাচিত হন।

এর আগে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেন। প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে। তিনি কঠোর হস্তে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের এক রায়কে কেন্দ্র করে তার সেই ক্ষমতা চ্যালেঞ্জে পড়ে। ছাত্রদের আন্দোলনে সেই রায় পরে সংশোধন করা হয়। কিন্তু প্রতিবাদ বিক্ষোভ রূপ নেয় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে।

শেখ হাসিনার ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানাননি সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। কিন্তু প্রতিবাদ বিক্ষোভের আকার এবং কমপক্ষে ২৪১ জনের মৃত্যু শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে অসম্ভব করে তোলে। এমনটি বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তা।

অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সেনাদের ভেতর ব্যাপক পরিমাণে অস্বস্তি ছিল। সম্ভবত এ জন্যই চিফ অব আর্মি স্টাফের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ সেনারা ব্যারাকের বাইরে এবং তারা দেখতে পাচ্ছিলেন কী ঘটছে।

সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, এতে জীবন রক্ষার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মকর্তাদের ধৈর্য প্রদর্শন করতে বলা হয়। এতে প্রথমেই যে ইঙ্গিত মেলে তা হলো সেনাবাহিনী সহিংস প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমনে শক্তিপ্রয়োগ করবে না। ফলে শেখ হাসিনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েন।

সোমবার কারফিউ অমান্য করে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহেদুল আনাম খানের মতো সিনিয়র অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রাজপথে নেমে পড়েন। তিনি বলেন, আমাদের থামায়নি সেনাবাহিনী। আমরা যেটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেনাবাহিনী সেটিই করেছে।

অনির্দিষ্টকালের দেশজুড়ে কারফিউয়ের প্রথম দিন সোমবার শেখ হাসিনা গণভবনের ভেতরে অবস্থান করেন। এটি রাজধানী ঢাকায় ভারি নিরাপত্তা প্রহরী বেষ্টিত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। এর বাইরে রাস্তায় রাস্তায় জনতার ঢল নামে। লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজধানী ঢাকার রাস্তায় নেমে আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। ভারতীয় কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের দুজন ব্যক্তি, যারা এ বিষয়ে জানেন, তারা বলেন— এমন অবস্থায় দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন ৭৬ বছর বয়সি এ নেত্রী।

বাংলাদেশের একটি সূত্র বলেছেন, শেখ হাসিনা এবং তার ছোটবোন শেখ রেহানা এ সময় একসঙ্গে ছিলেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন পালিয়ে যাবেন। দুপুরের দিকে তারা ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, জুলাই মাসজুড়ে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল নয়া দিল্লি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

খুলনার কয়রায় কালনা মাদ্রাসায় জামায়াতের সবক ও দােয়া অনুষ্ঠিত

খুলনার কয়রা উপজেলার কালনা আমিনিয়া মাদরাসায় কামিল (স্নাতকোত্তর) হাদিস বিভাগের ১ম সবকবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় বিএসএইচ সিংগা হাইস্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কলারোয়ায় বি,এস,এইচ সিংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে এক অভিভাবক সমাবেশবিস্তারিত পড়ুন

চুকনগর বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি সাহিদুল, সম্পাদক বিল্লাল

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর পর চুকনগর বাজার বণিকবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার দেয়াড়া হাই -স্কুল নির্বাচনী পরীক্ষা-২৪ এর ফলাফল প্রকাশ
  • নড়াইলে পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি ছিনতাই
  • অটোরিকশা চালকদের কর্মসূচি স্থগিত
  • নির্বাচন কখন হবে, জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
  • বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ভোগান্তিতে ভারত ফেরত পাসপোর্টযাত্রীরা
  • কদমতলা বাজার কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে আইয়ুব সভাপতি, রফিকুল সম্পাদক
  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় জমি না দেওয়ায় মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন
  • সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর আয়োজনে ও আবু সাঈদ এর অর্থায়নে টিউবওয়েল প্রদান
  • কলারোয়ার মডেল মসজিদটি উদ্বোধনের আড়াই বছর পরও প্রস্তত হয়নি নামাজের জন্য
  • এমপি হয়ে অঢেল সম্পদের মালিক খুলনা-৬ আসনের বাবু
  • সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি, সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন