জিম্বাবুয়েকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের
হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডে ম্যাচে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে সফররত বাংলাদেশ। আর এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর বিদেশের মাটিতে বাংলাওয়াশের কীর্তি গড়লেন টাইগাররা।
বিদেশের মাটিতে সর্বশেষ ২০০৯ সালে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে তিন ম্যাচের প্রতিটি জিতে নেয় টাইগাররা। এর আগে ২০০৬ সালে কেনিয়ার মাঠে তাদেরকে বাংলাওয়াশ করেছিল লাল-সবুজের পতাকাধারীরা। আর এবার তৃতীয় দল হিসেবে বাইরে গিয়ে সবকটি ম্যাজ জিতল সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা দলটি।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আজ(মঙ্গলবার) টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় বাংলাদেশের। ওপেনিং জুটিতে মাত্র ১৩.৫ ওভারে দুই ওপেনার মিলে তুলেন ৮৮ রান। দারুণ ছন্দে ব্যাট করতে থাকা লিটনের এক ভুল শটে ক্যাচ পেয়ে যান ম্যাধেভেরে। আউট হওয়ার আগে লিটন করেন ৩২ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যক্তিগত খাতায় ৩০ রান তুলে ফেরেন সাকিব আল হাসান।
এদিকে আপনতালে খেলে যান দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তার এই অনবদ্য ইনিংসের সুবাধে সেসময়ই জয়ের সুবাস পেতে থাকে সফরকারীরা। তিনি থেমেছেন ১১২ রানে। ৯৭ বলে খেলা এই ইনিংসটি তিনটি ছয় এবং আটটি চারে সাজানো।
তামিম আউট হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলের হাল ধরতে না পারলেও নুরুল-মিঠুনের ৬৪ রানের জুটিতেও জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি মিঠুন। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফেরেন ৩০ রানে।
এদিকে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে পূর্ণ করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন নুরুল হাসান সোহান। ৩৯ বলে ৪৫ রান অপরাজিত থাকেন তিনি। এদিকে আফিফ অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ২৬ রানে।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসে দশম ওভারে নিজের করা প্রথম ওভারেই মারুমানিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৮ রান করেন মারুমানি। পরের উইকেটে ব্যাট করতে এসে ২৩ রান তুলেন টেলর।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে এক ‘ভয়ঙ্কর’জুটিই গড়েছিলেন জিম্বাবুইয়ান দুই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাভা এবং ডিওন মেয়ার্স । নিজের তৃতীয় স্পেলে বল করতে এসে সেই জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ডিওন মেয়ার্স করেন ৩৪ রান। পরের ওভারেই ওয়েসলে ম্যাধেভেরেকে ৩ রানে ফেরান মোস্তাফিজ। উইকেটের ধারা বজায় রাখেন তাসকিন আহমেদও। চাকাভাকে ৮৪ রানে ফেরান তিনি।
১৭২ রানে ৫ হারানোর পর চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এসময় ষষ্ঠ উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়লে বড় ইনিংসের দিকেই এগোতে থাকে রোডেশীয়রা। রাজা এবং বার্ল দুজনই অর্ধশতক পূর্ণ করেন। ৫৪ বলে ৫৭ রানে ফেরেন রাজা। এদিকে আউট হওয়ার আগে বার্ল করেছেন ৪৩ বলে ৫৯ রান।
পরের চার ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)