শনিবার, আগস্ট ২৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বিবিসি বাংলা'র প্রতিবেদন

দুই প্রেমিকাকে একই সঙ্গে বিয়ে করলেন যুবক!

বিয়ের আগে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা, আবার তা লুকিয়ে রেখে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কোন পুরুষ-এমন খবর প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু দুই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর তাদের দুজনকে একই সঙ্গে বিয়ে করেছেন কোন যুবক-এ রকম কি শুনেছেন?

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে কয়েক দিন আগে এ রকমই এক ঘটনা এখন সামনে এসেছে।

মাওবাদী প্রভাবিত বস্তার এলাকার চন্দু মুরিয়া তার দুই প্রেমিকা সুন্দরী কাশ্যপ এবং হাসিনা বাঘেল-দুজনকে একই দিনে, একই মন্ডপে বিয়ে করেছেন সব সামাজিক রীতি মেনে।
গত রবিবার বিয়ের পরে চারদিন ধরে চলেছে উৎসব। চন্দু এবং হাসিনার পরিবার বিয়েতে উপস্থিত থাকলেও সুন্দরীর বাড়ি থেকে কেউ আসেননি।

মুরিয়া জনজাতির যুবক মুরিয়ার বয়স ২৪। তার থেকে বছর তিনেকের ছোট মুরিয়ার বড় স্ত্রী সুন্দরী। আর ছোট স্ত্রী হাসিনা চার বছরের ছোট।
কিছুটা জমিজমা আছে মুরিয়ার তাতে চাষাবাদ করেন তিনি।

তিনি জানান, বছর তিনেক আগে সুন্দরীদের গ্রামে গিয়েছিলাম কাজে। সেখানেই ওর সঙ্গে আলাপ হয়। তারপরে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মোবাইলের মাধ্যমে। সেখান থেকে প্রেম হয় আমাদের মধ্যে। তার বছর খানেকের মধ্যে হাসিনা আমাদের গ্রামে এসেছিল কোনও বিয়ে বাড়িতে। হাসিনাই আমাকে নম্বর দিয়ে ফোন করতে বলে। আমি ভেবেছিলাম বন্ধুত্ব পাতাতে চাইছে।

কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম শুধু বন্ধুত্বতেই আর থেমে থাকছে না। একদিন তো বলেই দিল যে সে আমার প্রেমে পড়েছে।

চন্দু পড়লেন মহাসমস্যায়। একদিকে সুন্দরীর সাথে পুরনো প্রেম, আর অন্যদিকে তার জীবনে নতুন আগমন ঘটেছে হাসিনার। একদিন তিনি সুন্দরীকে জানিয়ে দিলেন বিষয়টা।

প্রথমে চন্দুর কাছ থেকে হাসিনার ব্যাপারে জেনে খারাপ লেগেছিল। কিন্তু তারপরে বললো, আমি নিজেই হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। মোবাইলে কথা বলে আমার বেশ ভাল লেগেছিল বলে জানান চন্দুর বড় স্ত্রী সুন্দরী।

তিনি জানান, আমরা দুজনে দুজনকে বোন বলে ডাকতে শুরু করেছিলাম। আমাদের দুজনের দেখাও করিয়ে দিয়েছিল চন্দুই।

এরই মধ্যে হাসিনা তার গ্রাম ছেড়ে চন্দুর গ্রামে চলে আসেন একসঙ্গে থাকবেন বলে। সেটা অবশ্য সুন্দরীর পরিবার মানতে পারেনি। তাই তারা সুন্দরীকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

চন্দু মুরিয়া জানান, একদিন সুন্দরী বাড়ি থেকে পালিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। সেই থেকে আমরা তিনজনেই একসঙ্গে থাকছিলাম আমাদের বাড়িতে। বাবা-মা আর পরিবারের অন্যান্যরাও আছেন। আমার মা-ই একদিন বলেন যে বিয়ে করে নিতে। সমাজ থেকেও বলা হয়। কিন্তু আমি কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম।

সুন্দরী এবং হাসিনা অবশ্য এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন স্বামীকে ভাগাভাগি করে নিতে। কিন্তু দ্বিধা ছিল চন্দুর।

তিনি বলছিলেন, দুজনকে বিয়ে করলে বন্ধুরা হাসাহাসি করবে! একসঙ্গে যখন গ্রামে বের হবো, তখন লোকে কী বলবে, এসব ভাবনা কাজ করছিল আমার মাথায়। কিন্তু ওরা দুজন রাজী হয়ে যাওয়ায় আমিও আর না করিনি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে এনআইডি সেবা চালু

জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ICTবিস্তারিত পড়ুন

প্রথমবারের মতো গাজা সিটিতে দুর্ভিক্ষের কথা নিশ্চিত করলো আইপিসি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটিতে দুর্ভিক্ষের বিষয়টি প্রথমবারেরবিস্তারিত পড়ুন

ভারতে ‘সস্তা’ রুশ তেলের শীর্ষ উপকারভোগী আম্বানি

ভারতের রুশ তেল আমদানি ঘিরে নতুন করে আন্তর্জাতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেরবিস্তারিত পড়ুন

  • শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে গ্রে*ফতার
  • ভারতের জন্য তেলের দামে ৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা রাশিয়ার
  • গাজাযু*দ্ধে ১৯ হাজার শিশু হ*ত্যা করেছে ই*সরায়েল
  • কলিং ভিসায় ২৪ লাখ ৬৮ হাজার কর্মী নেবে মালয়েশিয়া
  • নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় বন্দু*কধারীদের হাম*লা, নিহ*ত ২৭
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৩ প্রবাসী গ্রে*প্তার
  • যে নীতিতে সরানো হলো রাষ্ট্রপতির ছবি
  • প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বিদেশে বাংলাদেশি সব মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ
  • নোবেল পুরস্কার চাই ট্রাম্পের, বললেন নরওয়ের মন্ত্রীকে
  • মালয়েশিয়ায় যেসব সুবিধা পাবেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা
  • ১২ দিনে দেশে এসেছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স