নড়াইলের ৪৪৭ স্কুল ও কলেজে শহীদ মিনার নেই
ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও নড়াইলে ৪৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো শহীদ মিনার নেই। তবে সকল স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় একই আদলে শহীদ মিনার তৈরির পরিক্ল্পনা করছে সরকার। কেন্দ্রীয়ভাবে যে ডিজাইন পাঠানো হবে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব উদ্যোগে সেভাবে শহীদ মিনার তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
জানা গেছে, জেলায় মোট ৬৯৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যার মধ্যে ৪৯৫টি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ৩৮৪টিতে শহীদ মিনার নেই। এছাড়া ২০৩টি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার মধ্যে ৬৩টি শিক্ষ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপিত হয়নি।
এ বছর নড়াইলের কৃতি সন্তান ভাষা সংগ্রামী অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দিন আহমেদ একুশে পদকে ২০২১ (মরণোত্তর) ভূষিত হয়েছেন। মরহুম অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দিন আহমেদ নড়াইল জেলার চাঁচড়া গ্রামে ১৯১৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নড়াইল মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন, পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যও।
তার সন্তানরাও স্ব স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। আফসার উদ্দিন আহমেদের সন্তান সাবেক সংসদ সদস্য সাঈফ হাফিজুর রহমান খোকন বলেন, বাংলা ভাষার জন্য অনেকে ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। যার স্বীকৃতি জাতিসংঘ দিয়েছে। অথচ নড়াইলসহ সারাদেশে এখনও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই অচিরেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করা হোক।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই আমরা তার তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে সারাদেশে অভিন্ন মডেলে শহীদ মিনার তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ছায়েদুর রহমান জানান, মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে সকল স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় একই আদলে শহীদ মিনার তৈরি করা হবে। বিধায় নতুন করে মন্ত্রণালয় থেকে ডিজাইন ও অর্ডার না আশা পর্যন্ত আপাতত আর কোনো শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে না। যদিও অনেকে বেসরকারিভাবে তৈরি করে দিতে আগ্রহী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)