বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান বলেন- আমরা ভেজাল দস্তা সার তৈরির কারখানা সিলগালা করে দিয়েছি। সার তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও একটি পিকআপভর্তি সার জব্দ করেছি।
এসিল্যান্ড বলেন- এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযান চলাকালে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। এ জন্য কাউকে জেল-জরিমানার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীন ইসলাম বলেন- যে সার জব্দ হয়েছে, তা চুন আর গোবর মিশিয়ে তৈরি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারখানায় কয়েকটি চুনের বস্তা পাওয়া গেছে। এখানে ভেজাল দস্তা সার তৈরি করে ‘লাঙল মার্কা’, ‘জেএন মনোজিংক’ ও ‘আমেরিকান জিংক’ কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে বাজারজাত করা হতো। সারের মান নিশ্চিত করতে আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি।
মেহেদী হাসান নামে স্থানীয় এক কলেজছাত্র বলেন- এক মাস হবে এ ঘর ভাড়া নিয়ে সাত-আটজন লোক থাকছেন। দিনের বেলায় বন্ধ রেখে রাত হলে তারা ভেতরে কাজ করতেন। নিয়মিত একটা পিকআপ সন্ধ্যায় কিছু মালামাল নিয়ে আসত। রাত ১১টায় আবার সার ভর্তি করে চলে যেত। এখানে যে ভেজাল সার তৈরি হয়, আমরা বুঝতে পারিনি।
মণিরামপুর থানার এসআই আবু বক্কর বলেন- বেশ কয়েক দিন ধরে একটি চক্র বাঁধাঘাটা স্কুলের পাশে মুনতাজ আলী বশিয়ার একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ভেজাল দস্তা সার তৈরি করার অভিযোগ পাই। রোববার দিবাগত রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানার সামনে সারভর্তি একটি পিকআপ দেখতে পাই। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পিকআপ ফেলে চালকসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি এসিল্যান্ড ও কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীন ইসলাম- মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্করসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)