সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মনিরামপুরে পুড়ে যাওয়া দোকানের ভেতরে পড়ে ছিল মালিকের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ

হেলাল উদ্দিন, মনিরামপুর: মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে কালিপদ বিশ্বাস(৪৫) নামে এক ব্যক্তির আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার হয়েছে। (১০ ফেব্রুয়ারী) শনিবার ভোরে মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঝাঁপা বাঁওড়ের বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুর পূর্বগেটের একটি দোকান থেকে তাঁর দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছেন।

কালিপদ দাস সেতুর পূর্বগেটের মোবারকপুর গ্রামের মৃত বাঞ্ছারাম বিশ্বাসের ছেলে। বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুর পূর্বগেটের মুদি দোকান রয়েছে কালিপদ দাসের। প্রতিদিনের ন্যায়ে রাতে সেই দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর সাথে দোকানটিও পুড়ে ছাই হয়েছে।

এদিকে শরিবার ভোরে দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে বাবাকে বাঁচাতে এসে দগ্ধ হয়েছেন কালিপদ বিশ্বাসের ছেলে অমিত বিশ্বাস (১৯)। তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাফায়াত হোসেন বলেন, ভোর ৬টা ২৩ মিনিটে সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।

আমরা পৌঁছানোর আগে টিনের দোকানের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে আমরা দোকানের ভিতরে থাকা মালিক কালিপদ বিশ্বাসের পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করেছি। সাফায়াত হোসেন বলেন, দোকানদার রাতে ভিতরে ঘুমানোর সময় মশা তাড়ানোর কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমান। এমনটি আমরা জানতে পেরেছি। তাছাড়া দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই দুইটার কোন একটি হতে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। কালিপদ দাসের প্রতিবেশী ভাই সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, অনেক বছর আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ডান পা হারান কালিপদ। পরিবারে তাঁর স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে আছেন। ২০১৭ সালের দিকে ঝাঁপা বাঁওড়ের উপরে দ্বিতীয় ভাসমান সেতু নির্মিত হওয়ার পর আমরা পাড়ার সবাই সেঁতুর পূর্বপাড়ে কালিপদ বিশ্বাসকে একটি দোকান ধরিয়ে দিয়েছিলাম।

সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, কালিপদর দোকানে ফ্রিজসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল ছিল। দোকানে তিনি মুদির মাল ও চা বিক্রি করতেন। রাতে নিয়মিত তিনি দোকানে ঘুমাতেন। এই দোকানের উপর তার সংসার চলত। দোকানদারি করে তিনি মেয়েকে অনার্সে ও ছেলেকে সরকারি পলিটেকনিকে পড়াচ্ছিলেন।

সঞ্জয় চৌধুরী আরও বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁর দোকানে চা পান করে আমরা গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাই। আমাদের সাথে কালিপদও গিয়েছিলেন। রাত ৩টার দিকে তিনি দোকানে ফেরেন। এরপর ভোর পাঁচটার দিকে তাঁর দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে আমরা দৌঁড়ে এসে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়েছি। এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোক আসে।

সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, ভোরে বাবাকে ভিতরে পুড়তে দেখে তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন ছেলে অমিত বিশ্বাস। এখন সে হাসপাতালে ভর্তি। তার অবস্থা খুবই খারাপ।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, লাশ আমাদের হেফাজতে আছে। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

দুর্ঘটনায় যশোরের রাজগঞ্জের যুবকের মৃ*ত্যু

হেলাল উদ্দিন : দুর্ঘটনায় আহত শান্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬দিন পর হাসপাতালে মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন

মনিরামপুরে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় প্রেমিকার মৃ*ত্যু

হেলাল উদ্দিন : যশোরের মণিরামপুরে মাটিবাহী ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে অনিমাবিস্তারিত পড়ুন

যশোরের রাজগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন

হেলাল উদ্দিন : “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নতুনবিস্তারিত পড়ুন

  • রাজগঞ্জ-ঝিকরগাছা সড়কের ধারে রোপন করা প্রায় শতাধিক তালগাছ নিধন
  • মণিরামপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
  • রাজগঞ্জের খুচরা বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি, বিপাকে শ্রমজীবী ও নিম্ন্নআয়ের মানুষ
  • রাজগঞ্জে আগুনে পুড়ে এক শিশুর মৃত্যু
  • মনিরামপুরে মানবাধিকার সুরক্ষা দলের বার্ষিক প্রশাসনিক সভা
  • মনিরামপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত-২
  • যশোরের মণিরামপুরের শ্যামকুড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
  • যশোরের রাজগঞ্জে খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি
  • রাজগঞ্জে গাড়ীর হর্ন আর মাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ মানুষ শিক্ষার্থীদের লেখাপাড়ায় বিঘ্ন ঘটছে
  • মনিরামপুরে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মর্মান্তিক মৃ*ত্যু
  • মুন্সিখানপুরে ব্যাতিক্রমী ৮ দলীয় হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত
  • রাজগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু