মেসি-সুয়ারেজ একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে!


লিওনেল মেসির পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হতে যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারের শেষ বয়সে খেলতে যেতে চান যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস)। স্প্যানিশ গণমাধ্যমে গুঞ্জন, সেখানে সঙ্গী হতে পারেন আর্জেন্টাইন তারকার দীর্ঘদিনের বন্ধু লুইস সুয়ারেজও!
বার্সেলোনার সঙ্গে আগামী জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ক্ষুদে জাদুকরের। পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এই ক্লাবে থাকলেও, এবার সেটি ছাড়তে চান তিনি। পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, সিরিআ কিংবা লিগ ওয়ান। ম্যানচেস্টার সিটি, পিএসজি কিংবা ইন্টার মিলান, যে কোন ক্লাবের জার্সিতেই দেখা যেতে পারে বিশ্বসেরা ফুটবলারকে। আরো কিছুদিন ইউরোপে খেলে তারপরই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চান লিও।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বার্সা ছেড়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেয়া মেসির বন্ধু সুয়ারেজও যেতে পারেন এমএলএসে। স্প্যানিশ গণমাধ্যম কাতালুনিয়া রেডিও’র দাবি, দুই বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রেও খেলতে চান একই ক্লাবে। সেজন্যে নাকি যোগাযোগও শুরু করে দিয়েছেন তারা। এরইমধ্যে যে ক্লাবটির নাম সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে তার নাম ইন্টার মিয়ামি।
ইন্টার মিয়ামির মালিক ইংলিশ তারকা ডেভিড বেকহ্যাম। ক্লাবটিকে মেসি-সুয়ারেজের জন্য আদর্শ ঠিকানা বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্প্যানিশ টেলিভিশন লা সেক্সটাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছেন, আমি সবসময়ই বলেছি যে আমি যুক্তরাষ্ট্রে খেলার অভিজ্ঞতা নিতে চাই। তবে এখনই সেখানে যাচ্ছি না।
এরইমধ্যে ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সুয়ারেজ। তবে গেল মৌসুমে তিনিও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আরো কিছুদিন খেলবেন ইউরোপে। অ্যাতলেটিকোর সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হবে ২০২২ সালে। সেসময় তার বয়স হবে ৩৫। একই বছরে মেসির বয়সও হবে ৩৫। ফলে ২০২২ এমনকি ২০২৩ সালে এমএলএসে পাড়ি জমাতে পারেন দুই বন্ধু।
কিন্তু তার আগে কোথায় খেলবেন মেসি, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা নেই কারো। এমনকি আর্জেন্টাইন তারকারও না!

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
