রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

রায়েরবাগে দুই পুলিশকে হত্যা, ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেফতার ৬

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে সহিংসতা ছড়িয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ ও শনির আখড়া এলাকায় দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ছাত্রদল নেতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।

গ্রেফতাররা হলেন, মাস্টারমাইন্ড ডেমরা থানা ছাত্রদল আহ্বায়ক মাসুদ রানা, ইরফান, আবু বক্কর, রবিউল ইসলাম, সৌরভ মিয়া ও তারেক।

ডিবি বলছে, ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানার নেতৃত্বে পুলিশ হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন করা হয়। একেকজনের ছিল একেক দায়িত্ব। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গ্রেফতার ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানার নেতৃত্বে ইরফান, আবু বক্কর, রবিউল ইসলাম, সৌরভ মিয়া ও তারেকসহ ২৫-৩০ জনের একটি দল গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করার জন্য যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগে অবস্থান করে। এছাড়াও মাসুদ রানার উপস্থিতি এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় ইরফান ও বক্কর আরও কয়েকটি দল নিয়ে এসে মাসুদ রানার সঙ্গে যোগ দেয়। মাসুদ রানার নেতৃত্বে তারা রায়েরবাগ-শনির আখড়া এলাকায় অগ্নিসংযোগ এবং মসজিদের মাইকে গুজব ছড়ানো, থানা আক্রমণ এবং পুলিশ হত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

হারুন বলেন, রাত আনুমাণিক সাড়ে ১১টায় তারা এক মোটরসাইকেল আরোহীকে তাড়া করে। তাদের তাড়া খেয়ে মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তার পাশে পরে গেলে মাসুদ রানা ও তার সহযোগীরা সেই ব্যক্তির ব্যাগ তল্লাশি করে পুলিশের পোশাক ও আইডি কার্ড দেখতে পায়। তখন তারা পুলিশ পুলিশ বলে চিৎকার করে।

তাদের চিৎকারে আশপাশের অনেকে সেখানে জড়ো হয়। এ সময় তাদের হাতে থাকা হকিস্টিক, বাঁশ, লাঠি ইত্যাদি দিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে মারতে থাকে। ঘটনাস্থলেই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু ঘটে। তার মৃতদেহ নিয়ে তারা উল্লাসে মেতে উঠে। পুলিশের মোটরসাইকেলটিতেও তারা অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। আন্দোলনে যাওয়ার জন্য তাদেরকে কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য তারেক অর্থ সহায়তা দিতো এবং তার নির্দেশে তারা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের কাজ করে।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, পরের দিন ২০ জুলাই সকালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ওই এলাকায় মোটরসাইকেলে করে সাদা পোশাকে একজন ব্যক্তিকে আসতে দেখে দুষ্কৃতকারীরা ধাওয়া করে, তাকে ধরে ফেলে এবং পুলিশ সদস্য বুঝতে পেরে তাদের হাতে থাকা হকিস্টিক, বাঁশ, লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে এবং ঘটনাস্থলেই ওই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু নিশ্চিত করে। তার মোটরসাইকেলটিও একইভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
নিহতরা হলেন, এএসআই মোহাম্মদ মুক্তাদির (৫০) ও নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮)।

দুই পুলিশ হত্যায় গ্রেফতার ৬ জনের ভূকিকা কী ছিল
এই দুই পুলিশ সদস্য হত্যায় গ্রেফতার ৬ জনের ভূমিকা সম্পর্কে হারুন অর রশীদ বলেন, মাসুদ রানা যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ ও শনির আখড়া এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে। ইরফান ও মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের হত্যা ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। আবু বক্কর পুলিশ সদস্যকে মারপিট করে এবং মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।

এছাড়া গ্রেফতার রবিউল ইসলাম হকিস্টিক দিয়ে পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে এবং মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগে সহায়তা করে। সৌরভ মিয়া বাঁশের লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে। তারেক লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে এবং মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগে সহায়তা করে।

হারুন বলেন, জামায়াত ও বিএনপির ক্যাডাররা কীভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে আমাদের দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ গড়েছিল পুলিশ। পুলিশই দুর্দিনে প্রথম এগিয়ে আসে। গত বছরের ২৮ অক্টোবরে আমরা দেখেছি রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার চিত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এর আড়ালে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া, রায়েরবাগ এলাকায় গিয়ে তারা পুলিশকে টার্গেট করেছে। পুলিশ মারতে পারলেই ১০ হাজার টাকাও তারা ঘোষণা করেছিল।

তিনি বলেন, যারা পুলিশকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবারই গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা বা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা বার বার ব্যর্থ হয়েছে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করা পুলিশের কারণে। এজন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।

বাসা-বাড়িতে চলে অভিযান
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন বলেন, উদ্দেশ্য ছিল একটাই পুলিশকে ডিমরালাইজড করা। পুলিশকে ডিমরালাইজড করতে পারলে তারা হয়তো মনে করেছিল আন্দোলন সাকসেস হবে। পুলিশ দুর্বল হলে পিছিয়ে যাবে। পুলিশ সদস্যদের শুধু পিটিয়ে মেরেছে বা হত্যাই নয়, বাসা-বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে পুলিশ সদস্যকে খোঁজা হয়েছে। এখন আমরাও বাসা-বাড়িতে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি চক্রকে খুঁজছি। যেখানেই পাবো গ্রেফতার করে নিয়ে আসবো।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার করবো: সিইসি

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, অবাধ,বিস্তারিত পড়ুন

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস বললেন ‘আমরা আনন্দিত ও গর্বিত’

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যোগদানের সুযোগ পাওয়ায় আনন্দবিস্তারিত পড়ুন

খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : মির্জা ফখরুল

পরিকল্পিতভাবে ১২ বছর ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখাবিস্তারিত পড়ুন

  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় ড. ইউনূস
  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট
  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নতুন সিইসি, কে এই নাসির উদ্দীন?
  • নতুন সিইসি নাসির উদ্দীন, ৪ কমিশনার নিয়োগ
  • আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম
  • বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভুটানের রাষ্ট্রদূত
  • অভ্যুত্থানে আহত-শহীদদের তালিকা প্রকাশ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে : সারজিস আলম
  • সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
  • শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করতে চান জেড আই খান পান্না
  • ডিসেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত বৈঠক, খুলতে পারে ভিসার জট
  • নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত