সাতক্ষীরায় আইনজীবীর বিরুদ্ধে মক্কেলের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাড. গাজী লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সোলেনামা করে না দিয়ে তালবাহনা করা এবং আইনগত সহায়তা প্রার্থীকে হাকিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামের মৃত মান্দার সরদারের ছেলে মঙ্গল সরদার এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, সাতক্ষীরার রাধানগর মৌজায় সম্পত্তি নিয়ে শরিকদের সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। যে কারনে উক্ত সম্পত্তির অন্যান্য কয়েকজন শরিক (দাবিদার) আমাকে সোলে করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী গত ৩ জানুয়ারী সাতক্ষীরা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী লুৎফর রহমানের কাছে সোলে নামা’র বিষয়ে পরামর্শ নিতে গেলে তিনি ওই দিনই করে দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু সেইদিন (৩ জানুয়ারী) সোলে নামা করে না দিয়ে তিনি ৪ তারিখে আসতে বলেন। কিন্তু ৪ তারিখে গেলে কাজ করে না দেয়ায় ৫ জানুয়ারী ফের তার কাছে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে তাড়িয়ে দেন।
এসময় তিনি বলেন, “তুই কি করে সোলে নামা করসি আমি দেখে নেব এবং জমি কিভাবে পাস সেটাও দেখে নেব”। অথচ সোলে নামা করে দেয়ার জন্য দুই দফায় তিনি আমার কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছেন। সেকারনেই খরচ করে লোকজন নিয়ে তার কাছে গেলেও কোন কাজ হয়নি। মঙ্গল সরদার বলেন, মানুষ আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য আইনজীবীদের কাছে যায়। সেকারনে মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু গাজী লুৎফর রহমানদের মত গুটি কতক অর্থলোভি বদ মেজাজী মানুদের কারনে গোটা আইনজীবীদের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা তার কাছে গিয়ে আইনী সহায়তা চেয়ে দাবি মোতাবেক টাকাও দিয়েছি। কিন্তু টাকা পরিশোধের পর গাজী লুৎফর রহমান আর আমাদের চিনতে পারছেন না। তাড়িয়ে দিয়ে মোয়াক্কেলদের হয়রানি করে যাচ্ছেন।
তিনি অ্যাডঃ গাজী লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট গাজী লুৎফর রহমান বলেন, সোলে নামার জন্য আরজি লিখে আমি আদালতে দাখিল করেছি। আদালত সোলে নামা প্রমানের জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারী দিন ধার্য্য করেছেন। আমি ওই দিনে লোক নিয়ে তাকে আসতে বলেছি। কিন্তু তা শুনে এক্ষুনি করে দিতে হবে বলে তিনি আমার উপর চাপ দিচ্ছেন। সোলে নামার খরচ বাবদ মঙ্গল সরদার আমাকে মাত্র দেড় হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)