এখনো অশান্ত মণিপুর, টহলে সেনাবাহিনী
ভারতের অশান্ত মণিপুর রাজ্যে এখানো সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ফের বহু আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে মণিপুরে। দক্ষিণ মণিপুরের পার্বত্য জেলা চুড়াচাঁদপুর, থৌবাল এবং ইম্ফল জেলার পূর্ব সীমানায় তল্লাশি অভিযানের পর ওই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুটি পৃথক অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, প্রথম অভিযানে চুড়াচাঁদপুরের থাংজিং ব্রিজের ওপরের ঘন জঙ্গল থেকে তারা দুটি ম্যাগাজিন, একটি সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল, দুটি ৯ এমএম পিস্তল, দুটি দেশি রকেট, একটি দূরপাল্লার মর্টার, দুটি মাঝারি পাল্লার মর্টার এবং চারটি বোমা উদ্ধার করেছে। আর এক দফা অভিযানে থৌবাল এবং ইম্ফলের পূর্ব সীমানার চাংবি গ্রাম থেকে দুটি কার্বাইন মেশিনগান, দুটি পিস্তল, একটি সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক এবং নয়টি হ্যান্ড গ্রেনেডসহ আরও নানা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সমস্ত অস্ত্র হস্তান্তর করা হয়েছে মণিপুর পুলিশের কাছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দুটি জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর মাঝে শুক্রবারই পূর্ব ইম্ফলে বড় নাশকতার ছক বানচাল করেছে সেনাবাহিনী। বংজাং ও ইথাম গ্রামের পাহাড়ি রাস্তায় পুঁতে রাখা সাতটি আইইডির সন্ধান পেয়ে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
বিস্ফোরকগুলোর মোট ওজন প্রায় সাড়ে ২৮ কেজি! তবে এর মধ্যেই মণিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মোদি সরকারের তৃতীয় শাসনকালের ১০০ দিন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ পদত্যাগ করছেন না। বরং আলোচনা চলছে কুকি ও মেইতেই দুই পক্ষের সঙ্গেই।
উল্টাদিকে মণিপুর কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যে সহিংসতা, অশান্তি চলছেই। কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে আলোচনা চলার কোনো প্রমাণই নেই।
কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কে দেবব্রত সিংহ বলেছেন, অমিত শাহের কথায় কোনো সত্যতা নেই। কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে শান্তি ফেরাতে বাস্তবে আলোচনা হওয়ারও কোনো প্রমাণ নেই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)