কলারোয়ার জয়নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী মাছের ঘের এলাকা পরিদর্শনে ইউএনও, এসিল্যান্ড
দৈনিক পত্রদূত ও কলারোয়া নিউজে খবর প্রকাশের পর জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের বসন্তপুরে সরকারি রাস্তার পাশের সেই মাছের ঘের এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী জেরিন কান্তা।
সোমবার দুপুরে ওই মাছের ঘের পরিদর্শনে যান তিনি। এসময় ইউএনও’র সাথে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকতার হোসেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী ও জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা।
বেঁড়িবাঁধ হিসেবে সরকারি রাস্তা ব্যবহার, গ্রাম ও বিলের পানি খালের মাধ্যমে কপোতাক্ষ নদে প্রবাহিত হওয়ার জন্য সরকারি ব্রীজের মুখ মাটি দিয়ে বাঁধার স্থান পরিদর্শন করেন তাঁরা।
পরিদর্শনকালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা পাওয়া যায় বলে উপস্থিত অন্যরা জানান।
পরিদর্শনকালে ইউএনও মৌসুমী জেরিন কান্তা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক শতক জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। এখানে আড়াইশ- তিন’শ বিঘা জমি অনাবাদি করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া ব্রীজের মুখ বন্ধ করা হয়েছে। এটা বে-আইনী।’
অতি দ্রুত ব্রীজের মুখে মাটি অপসারণের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, এর ব্যত্যয় হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
প্রসঙ্গত, উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বসন্তপুর বিলে ওই গ্রামের মৃত জোহর আলি মোড়লের এক ছেলে দেড় শতাধিক কৃষকের সাড়ে তিন’শ বিঘা জমি জবর দখল করে সরকারি রাস্তা মাছের ঘেরের ভেড়ীবাঁধ হিসেবে ব্যবহার এবং বর্ষকালের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ সরকারি রাস্তার উপর ব্রীজের মুখ ব্যবহার করে প্রায় এক যুগেরও বেশী সময় ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। জলবদ্ধতা নিরসনে ব্রীজের মখু উন্মুক্তের জন্য গত ১১ মার্চ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ কলারোয়া উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে শতাধিক কৃষক স্বাক্ষর করে অভিযোগ দাখিল করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)