তাজমহলের সেই ২২ ‘গোপন কুঠুরির’ ছবি প্রকাশ
তাজমহলের নিচে তালাবন্ধ সেই ২২টি ঘর খোলার দাবিতে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল।
তবে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ (আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই) জানিয়েছে, ঘরগুলিতে কোনও ‘গোপনীয়তা’ নেই। সোমবার সেই ‘গোপন’ কুঠুরিগুলির ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এএসআই কর্মকর্তারা সোমবার জানিয়েছেন, ওই কুঠুরিগুলিতে কোনও গোপনীয়তা নেই। এগুলি মূল কাঠামোর অংশমাত্র। শুধু তাজমহল নয়, এমন কুঠুরি অনেক যুগের স্থাপত্যেই রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই পুরাতত্ত্ব বিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকে।
উদারহণ হিসেবে বলা হয়েছে, দিল্লিতে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির কথা। তাজমহল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই-এর ‘আগরা সেল’ জানিয়েছে, ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যমুনা নদী লাগোয়া ওই ভূগর্ভস্থ ঘরগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়েছিল। সেসময়ই ছবিগুলো তোলা হয়। প্রকাশিত চারটি ছবি গত ডিসেম্বরে তোলা হয়েছিল।
তাজমহল আসলে ‘তেজো মহালয়’ নামে একটি শিব মন্দির বলে দাবি করে আসছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।
বিজেপির অযোধ্যা জেলার ‘মিডিয়া ইনচার্জ’ রজনীশ সিংহ এএসআই-এর বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তাজমহলের ‘আসল ইতিহাস’ অনুসন্ধানের দাবিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লাখনৌ বেঞ্চে জনস্বার্থে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
পাশাপাশি, তাজমহলের অন্দরে দীর্ঘ দিন ধরে তালাবন্ধ ওই ২২টি ঘর খোলারও দাবি জানান তিনি। গত ১২ মে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)