সাতক্ষীরা মেটারনিটিতে জমজ কন্যা শিশু ভূমিষ্ট
বিনামূল্যে মানসম্মত সেবা পাচ্ছে জনগণ। সাতক্ষীরা মেটারনিটি (মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে) হাসপাতাল। এই হাসপাতালে উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান কার্যক্রমসহ অন্যান্য যাবতীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে।
আরও দেখা গেছে, সেবা নিতে যাওয়া তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের গাবতলা গ্রাম থেকে মো: ইবরাহিম মোড়লের স্ত্রী মমতাজ খাতুন মঙ্গলবার সিজারিয়ান হয়েছেন। একসাথে তার দুটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে। হাসপাতালের সেবায় তারা অনেক খুশি। সাতক্ষীরা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সার্বিক সহযোগিতায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এখানে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং এ্যানেসথিয়ার মাধ্যমে এমনভাবে সিজার করা হয় বা নরমাল ডেলিভারি করা হয় যাতে মা ও শিশু দুজনে যেন ভালো থাকে সেদিকে বিশেষ নজর রাখে। জন্মের পর নবজাতক শিশুর যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে এখানে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে যে সকল রোগীরা ভর্তি থাকে তাদের সেবার জন্য রয়েছে অভিজ্ঞ নার্স।
সাতক্ষীরা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক দীপক কুমার সাহা জানান, মেটারনিটির এ্যানেসথিয়ার কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার পরে গত এক বছর যাবত সিজারিয়ান এবং নরমাল ডেলিভারি কার্যক্রমটি বন্ধ ছিলো। তবে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় উক্ত কার্যক্রমটি পুনরায় চালু করেছি আমরা। বিগত দিনে মেটারনিটির সেবার কারণে খুলনা বিভাগে কয়েকবার পুরস্কার পেয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটি। কিছুদিন বন্ধ থাকার কারনে অনেকেই চালু হয়েছে বিষয়টি জানেন না। তবে আমরা প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছি যাতে বেশি বেশি মানুষ এখান থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারে। আমরা চাই পূর্বের মতো সেবার মান বৃদ্ধি করে সবার মন জয় করতে।
সাতক্ষীরা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সহকারি পরিচালক গাজী বশির আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকে গণমানুষের দৌরগোড়ায় নিয়ে যেতে কাজ করছি আমরা। জেলা পরিবার পরিকল্পনার সহকারী পরিচালক (সিসি) ও ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট (এফপিসিএস-কিউআইটি) ডা: বিএম দীন মোহাম্মদ বলেন, আমরা জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য সবসময় প্রস্তুত আছি।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা: লিপিকা বিশ্বাস বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। তবে পৌরসভার পানির লাইনের সমস্যার কারণে পানির সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সাবমারসিবেল পানির পাম্প প্রায় বিগত ১০ মাস নষ্ট। বিষয়টি দেখভাল করেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তিনি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)