সাতক্ষীরায় দোকানঘর উদ্ধারের দাবিতে এক ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষ কর্তৃক জমির মালিকের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের মোঃ সামছুর রহমান ওরফে খোকন মোল্যার ছেলে মোঃ সেলিম হোসেন এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা সামছুর রহমান ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদার জীবিত থাকা অবস্থায় তার কাছ থেকে ১৯৯৬ সালের ১৮ জুলাই ৫৩১৭ নং রেজিঃ কোবলা দলিল মূলে ৭ শতক জমি ক্রয় করেন। নামপত্তন করে খাজনা পরিশোধ পূর্বক ভালুকা চাঁদধপুর বাজারের সরকারি রাস্তা সংলগ্ন উক্ত জমিতে বাড়িসহ দোকান ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু জমি বিক্রেতা ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে মোমিনুর রহমান ওরফে মধু সরদার, মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান হবি ও মাহবুবুর রহামন মাহবুব, একই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে আবু অহিদ বাবলু, আব্দুস সাত্তারের ছেলে ফারুক হোসেন মিঠু, আব্দুল মান্নানের ছেলে ইমদাদুল হক, আইয়ুব আলীর ছেলে রেজাউল কমির বাবু এবং মৃত শরিতুল্যার ছেলে গ্রাম ডাক্তার আব্দুল জব্বার গংরা গত ১৭ জানুয়ারি আমার ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। তারা এসময় আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং দোকান ঘর দখল করে নেয়।
সেলিম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এঘটনায় ওই দিন আমি থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মধু সরদারের জামাতা আশাশুনির প্রতাপনগর গ্রামের মৃত শাহাদাত গাজীর ছেলে মোঃ জাকির হোসেন কল্লোল ওরফে উজ্জল গাজী প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখানোর কারনে সাতক্ষীরা থানা আমাদের কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি। উল্টো উজ্জল গাজীর প্রভাবে ভূয়া ভাড়াটিয়া আব্দুল জব্বার বাদি হয়ে ২৩ জানুয়ারি থানায় আমাদের নামে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। মামলা বিষয় জানতে না পারায় ওই দিনই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে কারগারে প্রেরণ করে। সাত দিন হাজত বাস করা পর জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়িতে আসি। পরে মিজানুর রহমান দোকান ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা পরিশোধের পরও তারা দোকানঘর ছাড়েনি। উল্টো মধু ও মিজান গংরা এখন আমাকে প্রশাসনের ভয় দেখাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত নেতা জব্বার মধূর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় দোকান ভাড়া নিয়েছে জানিয়ে বলে, আমার ৫০ হাজার টাকা দিলে আমি ঘর ছেড়ে দিব। সে অনুযায়ি সরল বিশ্বাসে জব্বারকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হলেও এখন ঘর ছাড়ছে না। গরু, ছাগল, হাস, মুরগি বিক্রি করে ও কিছু টাকা সুদে নিয়ে আমি তাদেরকে দিয়েছি। কিন্তু এখন আমি আমার সম্পত্তি ফেরত পাচ্ছি না। উল্টো তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাত দিন আমাকে নজরদারিতে রাখছে এবং আমাকে ফাকা পেলে মেরে ফেলবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি।
তিনি দোকার ঘর উদ্ধার, মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে ও ওই সব দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)