আশাশুনির শ্রীউলায় মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীকে মারপিটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী লাকী বাহিনী কর্তৃক মারপিট ও নগদ টাকা ছিনিয়ে ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের মৃত সৈয়েব শিকারীর পুত্র ভুক্তভোগী মোঃ খলিল শিকারী।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি শ্রীউলা ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি একজন মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী। গত ১২ নভেম্বর বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে আমি উজিরপুর বাজার হইতে বাগদা চিংড়ী মাছ বিক্রয় করে পায়ে হেঁটে বাড়ী ফিরছিলাম। পথিমধ্যে আশাশুনি উপজেলার হাড়ীভাঙ্গা নামক স্থানের শ্বশান ঘাটের সামনে ফাঁকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্রই সেখানে একটি বাগানের মধ্যে ধারালো দা, চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ী, লোহার রড, বাঁশের লাঠি সোটা নিয়ে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা শ্রীউলা গ্রামের জালাল সরদারের পুত্র রাশেদ সরদার, সাহেদ সরদার ও রাসেল সরদারসহ একই গ্রামের মৃত গণি সরদারের পুত্র নাছিম সরদার ও আব্দুল বারী সরদারের পুত্র জাহাঙ্গীর সরদার আমার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আমার পকেটে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, আমি মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী হওয়ায় উক্ত ব্যক্তিদের সাথে আমার পুর্ব থেকেই শত্রæতা ছিল। এরই জেরে আমাকে তারা মারধরসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে আসছিল। উক্ত রাশেদ, সাহেদ, রাসেল, নাছিম ও জাহাঙ্গীর শ্রীউলা ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দা বাহিনীর প্রধান আলাউদ্দীন লাকী বাহিনীর ক্যাডার। আমাকে তারা ওই দিন পথরোধ করে বলতে থাকে সন্ত্রাসী লাকীর নির্দেশে তোকে খুন করার জন্য এসেছি। এসময় আমাকে এলোপাতাড়ি মারধরের একপর্যায়ে আমার গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং বলতে থাকে আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের বিরুদ্ধে যা বলতে বলবো তাই বলতে হবে নতুবা এখানেই তোকে মেরে ফেলবো। আমি মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে লাকী বাহিনীর ক্যাডারদের দেওয়া ভাষ্য মতে আমার অনিচ্ছাস্বত্তে¡ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান সাকিলের বিরুদ্ধে কথা বলি, যা লাকী বাহিনীর ক্যাডাররা তাদের মোবাইলে রেকর্ড ধারণ করে রাখে। এক পর্যায়ে আমাকে আটক ও মারধরের সংবাদ আশাশুনি থানার ওসি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে আমি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি ওসির সহযোগিতায় উদ্ধার হওয়ার পর আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়োছি। সন্ত্রাসী আলাউদ্দীন লাকীসহ আমার দায়েরকৃত এজাহারে বর্ণিত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজী, পুলিশ এ্যাসল্ট, চিংড়ী ঘের লুটপাটসহ প্রায় ১৮টি মামলা চলমান রয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী লাকী বাহিনী কর্তৃক মারপিট ও নগদ টাকা ছিনিয়ে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)