মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৫
প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ঐতিহাসিক মর্যাদায় দাঁড়িয়ে আছে বংশীপুর শাহী মসজিদ

এবিএম কাইয়ুম রাজ : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক বংশীপুর শাহী মসজিদ স্থাপত্য ও ইতিহাসের অপূর্ব নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শ্যামনগর বাস টার্মিনাল থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে এই মসজিদটি অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি টেঙ্গা মসজিদ নামেও পরিচিত।

১৩৩ ফুট ৯ ইঞ্চি দীর্ঘ ও সাড়ে ৩২ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট এই আয়তাকার মসজিদটি স্থাপত্য বৈচিত্র্যে অনন্য। এর নির্মাণশৈলী মুঘল আমলের ইঙ্গিত দেয়। স্থানীয়ভাবে অনেকে বিশ্বাস করেন, মসজিদটি মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে নির্মিত। অন্য একমত অনুসারে, যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য তাঁর রাজত্বকালে মুসলিম অনুগামীদের জন্য এটি নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ষোড়শ শতকের শেষদিকে এই মসজিদটি নির্মিত হয়ে থাকতে পারে।

ধারণা করা হয়, রাজা প্রতাপাদিত্যের বিশ্বস্ত সেনাপতি খাজা কামালের উদ্যোগে মুসলিম সৈন্যদের প্রার্থনার জন্য একটি ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। ফারসি ‘টেঙ্গা’ শব্দ থেকে এর নামকরণ হয় টেঙ্গা মসজিদ। কালের বিবর্তনে সেই ছাউনিই একসময়ে শাহী মসজিদে রূপ নেয়। তবে দীর্ঘ সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা অবস্থায় মসজিদটি পরিত্যক্ত ছিল। বিশ শতকের শুরুতে এটি আবিষ্কৃত হয়।

মসজিদটির গাঁথুনিতে ব্যবহৃত ইটের সঙ্গে যশোরেশ্বরী মন্দির ও বারোদুয়ারি মন্দিরের ইটের মিল থাকায় এটি প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ধুমঘাটের সময়কার নির্মাণ বলেই অনুমান করা হয়। গম্বুজের নিচে কারুকাজ, আটকোণা ঘাড়, খাঁজ এবং খিলান দরজা মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করলেও পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত সংস্কারে মসজিদের অনেক প্রাচীন বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যায়। সিমেন্ট ও বালির প্লাস্টারে ঢেকে ফেলা হয় ইটের কারুকাজ, মোজাইক বসানো হয় মেঝেতে এবং গম্বুজের নিচের আদি নকশাগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বর্তমানে মসজিদটি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহারোপযোগী করা হয়েছে। মূল ভবনের পাঁচটি কক্ষে বসানো হয়েছে দশটি এসি। মেঝে ও দেওয়াল টাইলস দিয়ে আবৃত। প্রতিটি কক্ষের পশ্চিম দেওয়ালে রয়েছে মিহরাব, যার মধ্যে মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। উত্তর-পূর্ব কোণে নির্মিত হয়েছে একটি আধুনিক মিনার।

মসজিদ প্রাঙ্গণে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি বৃহদাকৃতির কবর স্থানীয়ভাবে “বার ওমরাহ” নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, এগুলো মুঘল সম্রাট আকবরের পক্ষ থেকে প্রেরিত ১২ সেনানায়কের সমাধি।

প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে হাজারো মুসল্লির মিলনমেলায় মুখর হয়ে ওঠে মসজিদ চত্বর। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এই প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনাটি একনজর দেখতে। বাংলাদেশের ইতিহাস, স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য সাক্ষী হয়ে আজও পূর্ণ মর্যাদায় দাঁড়িয়ে আছে বংশীপুর শাহী মসজিদ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

চাঁদাবাজি–দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার গাজী নজরুল ইসলামের

এবিএম কাইয়ুম রাজ : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীরবিস্তারিত পড়ুন

ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠায় শ্যামনগরের আটুলিয়ায় ওলামা সম্মেলন

এবিএম কাইয়ুম রাজ : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশবিস্তারিত পড়ুন

রাস্তাঘাট মেরামতের জন্য স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তা দিলেন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী

মো: ইকবাল হোসেন: পাইকগাছার সবচেয়ে অবহেলিত ও দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন জনপদ হিসেবেবিস্তারিত পড়ুন

  • শ্যামনগরে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধে উপকূলে জলবায়ু ধর্মঘট
  • শ্যামনগরে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী গাজী নজরুল ইসলামের জনসংযোগ
  • শ্যামনগরে বিএনপির যৌথ সভা: ড. মনিরুজ্জামানকে বিজয়ী করার আহ্বান
  • শ্যামনগরে মাছচাষীদের মাঝে জৈব সার ও মাছের খাদ্য বিতরণ
  • শ্যামনগরে বিএনপি প্রার্থী ডা. মনিরুজ্জামানের গণসংযোগ
  • শ্যামনগরে কিশোর কিশোরী, যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা
  • শ্যামনগরে চায়না দুয়ারি জাল নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন
  • শ্যামনগরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
  • কলারোয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন শ্যামনগর
  • শ্যামনগরে নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে পুরুষ সংবেদনশীল কর্মশালা
  • শ্যামনগরে গ্রাম আদালতের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্যামনগর