শনিবার, জুলাই ২৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মণিরামপুরে কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ করেও ২ হাজার শ্রমিক মজুরি পাননি

যশোরের মণিরামপুরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির ৪০ দিনের কাজ শেষ হলেও প্রায় ২ হাজার শ্রমিকের কেউ এখনো মজুরি পাননি। প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের কথা থাকলেও এবার পুরো কাজ শেষ হয়ে প্রায় সপ্তাহখানেক সময় চলে গেলেও তারা টাকার দেখা পাচ্ছেন না।

শ্রমিকদের অভিযোগ- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের সমন্বয়হীনতার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পিআইওর কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে- মণিরামপুরে কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের ৪০ দিনের কাজ শুরু হয় ১১ এপ্রিল। নানা কারণে চার দিন বাদ দিয়ে ৩৬ দিন কাজ হয়েছে। ৩ জুন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ৪৬ প্রকল্পে ১ হাজার ৯৫৬ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। তাদের দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা।

শ্রমিকেরা জানান- মজুরির টাকা দিয়ে টেনেটুনে তাদের সংসার চলে। এবার কাজ শেষ হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ আগে কিন্তু একটি টাকাও পাননি। টাকার জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না। এখন ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে।

উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের শ্রমিক জীবন মণ্ডল বলেন- গরিব মানুষ। কর্মসৃজন কাজের টাকায় মেয়ের লেখাপড়া ও সংসার চলে। এবার কাজের টাকা পাইনি। সমিতির লোন তুলে অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে।

রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন- ইউনিয়নে ১৩৯ জন শ্রমিক আছেন। কাজ চলা অবস্থায় ২০ দিনের বিল করে পিআইও অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। দুই দিন আগে আবার ১৬ দিনের বিল জমা দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো শ্রমিক এখনো মজুরি পাননি। আজও দুজন শ্রমিক এসে কবেনাগাত টাকা পাওয়া যাবে সেটা জানতে চেয়েছেন।

মণিরামপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ দেখভাল করেন পিআইও দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার। তিনি জানান- কর্মসৃজন কাজের শ্রমিকদের মজুরি প্রতি সপ্তাহে পরিশোধ করার নিয়ম। কিন্তু ঢাকা থেকে তাদের ২০ দিন করে বিল পাঠাতে বলে। বিল পাঠানোর ১ মাস ১০ দিন পর শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব নম্বরে টাকা ঢোকে। এবার শ্রমিকদের কাজের প্রথম ২০ দিনের বিল গত মাসের ২৩ তারিখ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শেষের ১৬ দিনের কাজের বিল পাঠানোর কার্যক্রম চলছে।

সরোয়ার বলেন- ২০ দিন কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যানদের বিল প্রস্তুত করে দিতে বলি কিন্তু তারা গড়িমসি করেন। আবার ১৭ ইউনিয়নের বিল একসঙ্গে করে না পাঠালে অফিস গ্রহণ করে না। ঢাকায় কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে শ্রমিকেরা ২০ দিনের টাকা পাবেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) আরাফাত হোসেন বলেন- আগে কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা আমাদের হাতে আসত। এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি শ্রমিকদের মোবাইলে টাকা ঢোকে। আমরা শুধু বিল করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেই। এবারও বিল পাঠানো হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

রাজগঞ্জ শহীদ স্মৃতি গার্লস হাইস্কুলে এডহক কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা

হেলাল উদ্দিন : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠেবিস্তারিত পড়ুন

রাজগঞ্জে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে এক নারীর আত্মহত্যা

হেলাল উদ্দিন : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে সোনাভান (৫৫) নামের এক নারীবিস্তারিত পড়ুন

মণিরামপুরে এক সপ্তাহে সড়কে প্রাণ গেল ৫ জনের

হেলাল উদ্দিন : যশোরের রাজারহাট-চুকনগর মহাসড়কের মণিরামপুর অংশে গত এক সপ্তাহে পৃথকবিস্তারিত পড়ুন

  • মনিরামপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে চলন্ত ট্রাকের ধাক্কা, চালক ও সহকারী নিহ*ত
  • মনিরামপুরে ছোট ভাইয়ের হাতে প্রা*ণ গেলো বড় ভাইয়ের
  • মনিরামপুরের রাজগঞ্জ হাইস্কুল এবারো ‘এ’প্লাসে উপজেলার শীর্ষে
  • মুখ দিয়ে লিখেই এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন মনিরামপুরের লিতুনজিরা
  • মনিরামপুরে বাস চাপায় একজন নিহত
  • মনিরামপুরে বাস-ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  • যশোরের রাজগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর আ*ত্মহ*ত্যা
  • মনিরামপুর মহাসড়কে পথচারীদের জন্য শ্যামল ছায়া পরিবেশ
  • মনিরামপুরে মাটিচাপা দেয়া ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার
  • মনিরামপুরে উপজেলা পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা
  • শার্শায় ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘ*র্ষে নিহ*ত ১, আহ*ত ৭
  • আর্থিক সাক্ষরতা কর্মসূচি উপলক্ষে রূপালী ব্যাংক মণিরামপুর শাখায় মতবিনিময় সভা