নির্বাহী প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ:
সাতক্ষীরার নারায়নজোল ব্রীজটি সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর


গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের মাধবকাটি টু সাতানী বাজার সড়কের মজুমদার খালের উপর স্থাপিত নারায়নজোল ব্রীজটি ষাটের দশকে নির্মিত। ব্রীজটি নতুনভাবে সংস্কার করার জন্য এলজিইডি সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নারায়নজোলের এই ব্রিজটি কয়েকবার ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। সেই থেকে এ ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাছাড়া ব্রিজটির পার্শ্ব রেলিং না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।
মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রীজটির ডেক্স স্ল্যাব, উইং ওয়ালসহ সকল অংশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পার্শ্ব রেলিংও নেই। বর্তমান সময়ে মজুমদার খাল খননের কাজ চলছে। এ অবস্থায় এলজিইডি পক্ষ থেকে যদি ব্রীজটি নির্মাণ করা হয় তাহলে এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।
সদর উপজেলার নারায়নজোল, সাতানী, হরিশপুর, আগরদাঁড়ীসহ প্রায় ২০টিরও বেশি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ও জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রীজ। তাছাড়া পথচারীসহ স্কুল ও কলেজগামী হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ব্রীজটি ব্যবহার করে স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। এ ব্রীজ দিয়ে ভারী অথবা মাঝারী কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। কেননা, ভারী কোন যানবাহন চললে যেকোন মুহুর্তে ধ্বসে যেতে পারে ব্রীজটি।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে ব্রীজটি কখনো সংস্কার করা হয়নি। জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও তা কখনো আলোর মুখ দেখেনি। ফলে বর্ষা মৌসুমে ব্রীজটি সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা এলাকাবাসীর। তাদের দাবী, সাতক্ষীরা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী জনসাধারণের জন্য এ ব্রীজটি যেন নতুনভাবে নির্মান করে দেন।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানরা কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি। এখন মজুমদার খাল খননের কাজ চলছে এ অবস্থায়
আমরা এলজিইডি র নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এ ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানাই।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
