২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমাবে গ্রামীণফোন
টেকসই পরিবেশ তৈরি এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অবদান রাখতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। সায়েন্টিফিক বেইজড টারগেট ইনিশিয়েটিভ (এসবিটিআই) কর্তৃক অনুমোদিত আইসিটি খাত-নির্ভর ডিকার্বোনাইজেশন পাথওয়ের ওপর নির্ভর করে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ (০৫ জুন) গ্রামীণফোনের হেড অফিসে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
‘গ্রিন এনার্জি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- সরকারি-বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞ ও কূটনৈতিকরা। স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল এনাবলার হিসেবে গ্রামীণফোন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার এবং টাওয়ারে সোলার প্যানেল ব্যবহার বৃদ্ধিতে নিজেদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
গ্রামীণফোন ক্রমবর্ধমানভাবে টেকসই সল্যুশনের ব্যবহার, পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে প্রচারণা এবং জ্বালানি-সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় নিরলশভাবে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে জ্বালানি কার্যকারিতা বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসে বিনিয়োগ, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে জ্বালানির সর্বোচ্চ উপযোগিতার সংস্কৃতি তৈরিতে কাজ করা এবং পরিবেশের ওপর ব্যবসা, বিশেষ করে সাপ্লাই চেইনের প্রভাব কমিয়ে আনতে বিভিন্ন পর্যায়ে পার্টনারদের সাথে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রামীণফোনের কার্যক্রমের মধ্যে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। এ জন্য হাতিয়ার মতো সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ১২শ’ টাওয়ারকে সৌরশক্তি-চালিত টাওয়ারে রূপান্তরিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে যেসব অঞ্চলে কানেক্টিভিটি সুবিধা নেই সেখানে কানেক্টিভিটি সেবা নিশ্চিত করছে।
সভায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘জার্মানওয়াচের ২০২১ গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স (সিআরআই) অনুযায়ী, আমরা দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছি এবং দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সৌরশক্তি চালিত টাওয়ার স্থাপন করা সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথে অন্যতম একটি পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপ আমাদের কার্যক্রম থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশে সবুজ উদ্যোগ গ্রহণকারী অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা বিস্তৃত পরিসরের উদ্যোগ নেয়ার মধ্য দিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমার বিশ্বাস, গ্রিডলাইন ব্যবহার করার মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হলে তা দেশে সবুজ জ্বালানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়বে; এছাড়া, আমাদের জাতীয় লক্ষ্যও অর্জিত হবে।’
এছাড়াও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-সভেন্ডসেন, ইউআইইউ’এর সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের ডিরেক্টর মো. শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ইকোনোমিস্ট নাজনীন আহমেদ, ডিট্রোলিক এনার্জি হোল্ডিংস এসডিএন বিএইচডি’র গ্রুপ সিইও থাম ছি অওন এবং এইচঅ্যান্ডএম’এর স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার ফয়সাল রাব্বি। আলোচকরা কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টের (সিপিপিএ) বর্তমান আইন, বেসরকারি খাতের ট্রান্সমিশন ব্যবহার ও অবকাঠামো বিন্যাস এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ বাজারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পক্ষের সহযোগিতার গুরুত্ব সহ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত বাধ্যবাধকতা সম্পর্কিত নানান বিষয়ের ওপর গঠনমূলক আলোচনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)