আশাশুনির বুধহাটার ৩টি জলমহল ইজারা গ্রহিতাদের দখল নিতে বললেন এসিল্যান্ড
মঘের মুল্লুকের মত রাজ কায়েম করে বিশেষ ক্ষমতাধর কতিপয় ব্যক্তি আশাশুনিতে ইজারা গ্রহিতাদেরকে লাল চক্ষু দেখিয়ে জলমল দখলে নিয়ে বহাল তবিয়তে ভোগ দখল করে চলেছেন। ফলে দীর্ঘ ৩/৪ বছর ধরে অসহায় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্যরা সরকারের ইজারা মূল্য পরিশোধ করে জলমহল ইজারা নেওয়ার পরও দখলে যেতে না পেরে চরম বিপত্তিতে রয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর বি ত ইজারা গ্রহিতারা লিখিত আবেদন করেছেন। ‘জাল যার জলা তার’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবিস্মরনীয় ঘোষণা বাস্তবায়নে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি জলমহালগুলো বিধি মোতাবেক মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির অনুক‚লে ইজারা গ্রদান করে আসছেন প্রশাসন। উপজেলার কুন্দুড়িয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ বেউলা জলমহাল১৪২৭ সাল থেকে, চাপড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ চাপড়া ওমরখালী জলমহাল ১৪২৭ সাল থেকে এবং মধ্যম চাপড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ মহেশ্বরকাটি হিমখালী জলমহল ১৪২৫ সাল হতে ইজারা গ্রহন করে আসছেন। কিন্তু বেউলা জলমহল বুধহাটা গ্রামের এজদান সরদার, রুবেল হোসেন ও বেউলা গ্রামের মোশাররফ হোসেন, চাপড়া ওমরখালী জলমহল সাতক্ষীরার কাশেমপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান এবং মহেশ্বরকাটি জলমহল উত্তর চাপড়া গ্রামের আঃ সালাম ও আঃ রব দখল করে নিয়ে রেখেছেন।
বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে, জন প্রতিনিধিদের কাছে ও মোড়র মাতব্বরের কাছে ধর্ণা দিলেও কোন কাজ হয়নি। বরং জবরদখলকারীরা হুমকী ধামকী দিয়ে মঘের মুল্লুকের ন্যায় জবর দখল বজায় রেখেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ চরম ভাবে বি ত ও জবর দখলের শিকার ব্যক্তিরা বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি তুলে ধরলে চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু উপজেলা পরিষদের মিটিং-এ বিষয়টি উত্থাপন করলে বি তদের লিখিত ভাবে অভিযোগ করতে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত মত কুন্দুড়িয়া সমিতির সভাপতি সঞ্জয় মন্ডল ও মধ্যম চাপড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক আঃ মান্নান বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। দায়িত্ব পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) দীপা রানী সরকার সমিতির সদস্যদের নিয়ে বুধবার তার কার্যালয়ে বসেন। সকলের কথা শুনে ও কাগজপত্র নিরিখে অভিযোগ প্রমানিত হলে তিনি ইজারা গ্রহিতাদেরকে তাদের ইজারা নেওয়া জলমহলে দখলে যেতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
আবেদনকারীরা জানান, ইজারা গ্রহনের সময় জিল্লুর রহমান আমিরুল ইসলামের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন, ইজরার কাজে লগবে বলে। পরবর্তীতে জমির দখলে যেতে চাইলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আছে কোন কিছু করলে মামলা করে দেওয়া হবে বলে হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু আবেদনকারীদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাল যার জলা তার ঘোষণা দিলেও জবর দখলকারী ও তাদের সহযোগিরা জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে জননেত্রীর সুনাম নষ্ট করছে। তারা অবৈধ ভাবে প্রকৃত হকদারকে বি ত করে নিজেদের আখের গোছাতে কাজ করছে। এর প্রতিকার হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ গেজেটে বলা হয়েছে, কোন অবস্থাতেই ইজারা নেওয়া জলমহল সাবলীজ অথবা কোন ব্যক্তি/গোষ্ঠিকে হস্তান্তর করতে পারবে না। করলে লীজ বাতিল হয়ে যাবে। তার পরও কিভাবে জবর দখল ও ছলনা করে অন্যের লীজকৃত জলমহল ২য় পক্ষ দখল করছে তা ভাববার বিষয়। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের কাছে ভুক্তভোগিরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)