‘কলারোয়া নিউজ’-এ সংবাদ প্রকাশের পর সেই অসহায় পিতার পাশে অনেকে
‘কলারোয়া নিউজ’-এ সংবাদ প্রকাশের পর সেই সিএনজি চালক শাহ আলমের পাশে দাঁড়িয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে, এখন তিনি বেশ ভালো আছেন।
‘সন্তানের জন্য খাবার কিনতে না পেরে হাউমাউ করে কাঁদলেন এক সিএনজি চালক’ শিরোনামে কলারোয়া নিউজে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুহুর্তের মধ্যে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, সংবাদটি ভাইরাল হয়।
যশোরের শার্শা উপজেলা নিজামপুর ইউনিয়নের ছোট নিজামপুর গ্রামের মো. শাহ আলম পেশায় একজন সিএনজি চালক। সিএনজি চালিয়ে চলতো তার সংসার। ঘরে তার প্রায় ১ মাসের ছোট্ট শিশু সন্তান। কঠোর লকডাউনে তার একমাত্র আয়ের উৎস বন্ধ। ফলে সন্তানের দুধও কিনতে পারছিলেন না তিনি। সহ্য করতে পারছিলেন না সন্তানের কান্না। নিরুপায় হয়ে লোকজনের সামনেই চক্ষু লজ্জা ভুলে অশ্রু ভেজা চোখে সাহায্যের আকুতি করেন বাধ্য হয়ে। কাঁদলেন হাউমাউ করে অসহায় হয়ে।
বিষয়টি নিয়ে গত ৭ জুলাই কলারোয় নিউজে এক অসহায় সিএনজি চালকের কান্নার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরপরই উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ সারাদেশের মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছিলো। ইতোমধ্যে সংবাদটি ৩ হাজার বারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
১৯ জুলাই শাহ আলমের সাথে কথা হয় সেই অসহায় পিতা সিএনজি চালক শাহ আলমের সাথে।
তিনি বলেন, ‘কঠোর লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় গাড়ি চালাতে না পেরে ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসারের খরচ চালাতে ব্যর্থ হয়ে পড়েন তিনি। এমনকি মাত্র ২২ দিন বয়সের সন্তানের দুধ কিনতেও বিপাকে পড়েন। এরপর শার্শা নিজামপুর বাজারে কান্নারত অবস্থায় টাকার জন্য ঘুরে বেড়ান মানুষের দ্বারে দ্বারে। পাইনি কোনো সহযোগিতাও। সেই সময়ের কান্নারত অবস্থার একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে কলারোয়া নিউজ।’
স্থানীয় কয়েকজন জানান, ‘কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত সংবাদটি শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাপক ভাবে সাড়া জাগায় সারাদেশে। বিভিন্ন মাধ্যমে হাত বাড়ান শাহ আলমকে সহযোগিতা করার জন্য। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছেন। কেউ আবার তার সহযোগিতার জন্য বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন।’
এ সময় কলারোয়া নিউজ ও এর রিপোর্টার সোহাগ হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সিএনজি চালক শাহ আলম বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই কলারোয়া নিউজের সকল সাংবাদিককে। যারা আমার কষ্টের কথা তুলে ধরার পর আমি অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। আমি বর্তমানে অনেক ভালো আছি।’
তিনি আরো জানান, ‘সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন ধরণের খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ নিয়ে এগিয়ে আসেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা, নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম সেতু, শার্শার উদ্ভাবক মিজানুর রহমান সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ আমার সার্বিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’
২২দিনের সন্তানের দুধও কিনতে পারছেন না শার্শার কর্মহীন সিএনজি চালক
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)