সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

খুলনার কয়রায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি খাদ্যপণ্য তৈরি, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

খুলনার কয়রায় বেশ জনপ্রিয় বেকারির তৈরি খাবার। প্রায় প্রতিটি দোকানে পাওয়া যায় কেক, হরেকরকমের বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশ ইত্যাদি। এসব পণ্য জনপ্রিয় হলেও এর মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, কয়রার সব বেকারির কারখানায় এসব খাবার তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই এগুলো বাজারজাত করা হয়।

সরেজমিন বেকারির কারখানাগুলোতে দেখা গেছে, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ। প্রতিটি কারখানার ভেতরে স্যাঁতসেঁতে।

নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশসহ বিভিন্ন বেকারির পণ্য।কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরি করা খাবার রাখা আছে, সেখানেই ময়দা ও আটার গোডাউন। পাশে রাখা আছে জ্বালানির কাঠও। সঙ্গে রয়েছে মানবদেহের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল এবং পামওয়েল তেলের ড্রাম। এর পাশেই ছড়ানো ছিটানো আছে নানা প্রকার তৈরি সব খাদ্যপণ্য। এসব খাদ্যদ্রব্য তৈরির জন্য আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও নোংরা। যেসব কর্মচারী এসব পণ্য তৈরি করছেন, তাঁদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম।

উপজেলার ঘুগরাকাটি বাজারে ইমরান ফুড নামের এক বেকারির বিরুদ্ধে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বেকারির খাবার খেয়ে অনেক মানুষ আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন খাদ্যের সঙ্গে কীটপতঙ্গ থাকতে দেখা গেছে। আইন না মেনে শিশুদের দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন বেকারির খাবার। কোনো খাদ্যের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ও বিএসটিআই অনুমোদিত স্টিকার নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেকারি মালিক মো: মনিরুল বলেন, আমরা চেষ্টা করি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে খাবার বানাতে। আমরা দিনের খাবার দিনেই বিক্রি করে ফেলি। বিএসটিআই সহ সকল বৈধ কাগজপত্র আমার রয়েছে।

স্থানীয় চা দোকাদার সালাম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ছোট দোকানে চা-পান বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালাই। বেকারির তৈরি এসব খাবার উৎপাদনের তারিখ দেখার সময় নাই। আর ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না।

স্থানীয় একাধিক সচেতন ব্যক্তি বলেন, কয়রার বিভিন্ন বাজারে বেকারির পণ্য ছাড়াও ভাতের হোটেল, মিষ্টি তৈরির কারখানা গুলোতেও অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, ভেজাল খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারপরও কোথাও অনিয়ম হলে অভিযান পরিচালনা করা হবে দ্রুত।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মমিনুর রহমান জানান, মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। খাদ্য নীতিমালা অমান্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তে জব্দ করা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস

গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে জব্দকৃত বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংসবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা। প্রতিদিনবিস্তারিত পড়ুন

পাইকগাছায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন মাও. আবুল কালাম আজাদ

পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি: পাইকগাছা উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা-কার্যক্রমের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ স্বীকারকে বৃথা হতে দেয়া যাবে না : এম সাখাওয়াত
  • শিক্ষার্থীদের মার্চ ফর ইউনিটির গাড়িবহরে হামলায় রণক্ষেত্র
  • খুলনার কয়রায় জামায়াত আমীরের আগমন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা
  • আমীরে জামায়াতের পাইকগাছায় আগমণ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
  • কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সাথে মাও. আবুল কালামের মতবিনিময়
  • কয়রায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন
  • তিন জেলায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি
  • দলে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে : আমানুল্লাহ আমান
  • খুলনার কয়রায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন উপলক্ষ্যে পরিকল্পনা সভা
  • বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের সাথে সাবেক এমপি হাবিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
  • পদ্মা রেল সংযোগে ঢাকা-খুলনা : জনবল সংকটে বাঁধা ট্রেন যাত্রা, ডিসেম্বরে চালু
  • যৌন হয়রানির শিকার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর পাশে সাতক্ষীরা এনসিটিএফ