ভারতীয় পেঁয়াজ আবারও এনে বিপাকে আমদানিকারকরা
পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে ভারত থেকে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু। পেঁয়াজের দাম না থাকায় প্রতি ট্রাকে ১ থেকে দেড় লাখ লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের।
এদিকে, লোকসানের কারণে তিনদিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর আবারও শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুই ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি করেছে আমদানিকারকরা। তবে আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ নিয়ে ক্রেতা না থাকায় আবারও লোকসানের শঙ্কায় তারা।
অন্যদিকে, দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দাম কম থাকায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে তেমন কোনো চাহিদা নেই।
হিলিবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আলম হোসেন বলেন, দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের তেমন কোনো চাহিদা নেই। তাছাড়াও আমদানিকৃত পেঁয়াজের থেকে দেশীয় পেঁয়াজের গুনগত মান ভালো। আজকে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে এসে বিপাকে পড়েছি। দেশি পেঁয়াজের থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেশি চাওয়ায় পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যাচ্ছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাসুম জানান, দেশের বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের কোনো চাহিদা নেই। পেঁয়াজ আমদানি করে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সরকার পেঁয়াজ আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে, অন্যদিকে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় আমাদের পেঁয়াজ কিনছে না। প্রতিটি ট্রাকে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছিলাম। আবার আজ দুই ট্রাক আমদানি করেছি। পাইকার পত্র নেই, এটাতেও লোকসান গুনতে হবে।
হিলি কাষ্টমসের তথ্যমতে, দেশের অন্যতম এই বন্দর দিয়ে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ভারতীয় দুটি ট্রাকে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)