শুক্রবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৫
প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মনিরামপুরে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব, দিশেহারা খামারি ও দরিদ্র কৃষক

পশ্চিম মণিরামপুরের রাজগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে গরুর ক্ষুরা রোগ। এই রোগে রাজগঞ্জের ঝাঁপা, চালুয়াহাটি, মশ্বিমনগর, খেদাপাড়া, হরিহরনগর ও রোহিতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠা খামারে ও বাড়িতে থাকা কৃষকের প্রায় দুই/আড়াই হাজার গরু আক্রান্ত হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খামারি ও কৃষকরা। তবে এখনো পর্যন্ত এ রোগে কোনো গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

রাজগঞ্জ এলাকায় গরু মোটা তাজাকরণের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক গরুর খামার। এছাড়াও এ এলাকার প্রায় সকল দরিদ্র কৃষক লাভের আশায় সঞ্চায় হিসেবে তাদের বাড়িতে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করে থাকে। কিন্তু প্রায় বাড়িতে থাকা গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এজন্য দ্রুত সরকারি ভাবে ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

রাজগঞ্জের মশ্বিমনগর গ্রামের গরুর খামারি শাহিন হোসেন জানান- তার খামারে সব মিলিয়ে ৪৪টি গরু রয়েছে, সবগুলো গরুই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং চিকিৎসা চলছে।

তিনি আরো জানান- প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরণের সহায়তা মেলেনি।

রাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার প্রায়ই বাড়িতে পোষা গরুর এই রোগ দেখা দিয়েছে। ধীরে ধীরে এই রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে।

দেখা গেছে- অনেকেই এই রোগ থেকে তাদের সন্তানের মতো আদরের গরুগুলোকে রক্ষা করতে গোয়াল ঘরে চুন, পটাশ পানির সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেকেই কবিরাজের কাজ থেকে তদবির নিয়ে গোয়াল ঘরে রাখছেন।

হঠাৎ করে এই রোগ দেখা দেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রাজগঞ্জ এলাকার খামারি ও দরিদ্র কৃষকেরা। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না কৃষকরা, এমন অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এ অভিযোগ অস্বীকার করেছন ঝাঁপা ইউনিয়ন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন- আমরা যতো সম্ভাব চেষ্টা করে যাচ্ছি কৃষকের পোষা গরুর চিকিৎসা সহযোগিতা করার জন্য।

এদিকে, ক্ষুরা রোগের চিকিৎসায় ব্যায় বেশি হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন খামারি ও দরিদ্র কৃষকরা। পল্লী প্রাণী চিকিৎসকরাই ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গরুগুলোর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

পল্লী প্রাণী চিকিংসক মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান- আবহাওয়া জনিত কারণে গরুর এই রোগ হয়।

রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়ন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জান বলেন, ক্ষুরা রোগের জন্য সরকারিভাবে এখন ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। কৃষক যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তখন আমরা আক্রান্ত পশুগুলোর চিকিৎসা দিয়ে থাকি। ভ্যাকসিন আসলে আমরা আক্রান্ত গরুগুলোগুকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করবো।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শংকরপুরে কৃষকের বছরের পরিশ্রম দুর্বৃত্তদের আগু*নে পুড়ে ছাই

শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুরে দুষ্কৃতকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাইবিস্তারিত পড়ুন

‘ফুলের রাজ্য’ যশোরের গদখালীতে ‘টিউলিপে’ সম্ভাবনার আভাস

শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: শীতের আগমনী হাওয়ায় আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে ‘ফুলের রাজ্য’বিস্তারিত পড়ুন

শার্শায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ ওসমান গনি, বেনাপোল: যশোরের শার্শায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ–২০২৫ এর শুভ উদ্বোধনবিস্তারিত পড়ুন

  • মনিরামপুর প্রিন্টিং ব্যবসায়ী সমিতির আত্মপ্রকাশ ও কমিটি গঠন
  • মনিরামপুরে স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃ*ত্যু
  • রাজগঞ্জে বহু অপকর্মের হোতা কাদেরে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন
  • বেনাপোলে বিদেশী ডলারসহ পাসপোর্ট যাত্রী আটক
  • শার্শার গোগায় ধানের শীষের প্রার্থী তৃপ্তির বিজয়ের লক্ষ্যে উঠান বৈঠক
  • হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার সেই উৎসব আর ভাওয়াইয়া গান
  • শার্শায় বোমা বি*স্ফোরণে যুবক গুরুতর আহ*ত
  • শার্শায় ইয়াবাসহ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
  • ভারত থেকে ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে হস্তান্তর
  • শার্শায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে জামায়াত নেতার শোডাউন
  • লকডাউনে স্বাভাবিক বেনাপোল বন্দর, সচল রাখতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • নিখোঁজের ১১ বছর পর দেশে ফিরলো ৪ সন্তানের জননী