মণিরামপুর পৌরশহরে একরাতে ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি
যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের প্রাণ কেন্দ্র গার্মেন্টস পট্টীতে এক রাতে ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুঃসাহসিক চুরি সংগঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) দিবাগত ভোর রাতে লোহা জাতীয় রড দিয়ে সার্টার তুলে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ঢুকে ক্যাসবাক্স ভেঙ্গে প্রায় চার লাখ টাকা চুরি করেছে চোর। কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চুরির দৃশ্য দেখা গেলেও চোরের মুুখ গামছা দিয়ে বাঁধা থাকায় তাকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ সনাক্ত করতে পারেনি। ফুটেজ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে একজনই এ চুরি করেছে। তবে, চোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টাকা ছাড়া আর কিছুই নেয়নি।
জানাযায়- মণিরামপুর পৌরশহরের ব্যস্ততম ও ব্যবসার প্রাণ কেন্দ্র হলো গার্মেন্টস পট্টী। সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃৃত ভিডিও ফুটেজের সময় অনুযায়ী ভোর পাঁচ টার পরে চুরি শুরু হয়। প্রথমে মাস্টার মোশারফ হোসেনের মালিকানাধীন বস্ত্রালয়ের মুখে গামছা বাঁধা একজন লোহার রড জাতীয় কিছু দিয়ে সার্টারের নীচে চাপ দিয়ে উচু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর দোকানের ক্যাসবাক্স ভেঙ্গে টাকা নিয়ে একই ভাবে একের পর এক ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্টার উঁচু করে।
এরমধ্যে গ্রার্মেন্টস ব্যবসায়ী হারুণ অর রশিদ, রবিউল ইসলাম, ফারুক হোসেন, শফিকুল ইসলাম, সাঈদ কবীর পলাশ, আফজাল হোসেন, আব্দুর রহিম, আব্দুল হামিদ ও সেলিম হোসেনের দোকানে ঢুকে ক্যাসবাক্স ভেঙ্গে পড়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা চুরি করে চোর। অপর চারটি দোকানের সার্টার একইভাবে উঁচু করলেও ভিতরে ঢুকতে পারেনি চোর। চুরি সংগঠিত এলাকায় আবু হাশেম ও আব্দুল মজিদ নামের দুইজন নৈশ প্রহরী ছিলেন। নৈশ প্রহরী আবু হাশেম জানান- তিনি ফজরের আযানের পর মসজিদে নামাজ পড়ে চলে আসেন। তারপর এ চুরি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা, প্রশাসনের কাছে চোর সনাক্তের দাবি জানিয়েছেন।
মণিরামপুর থানা থেকে বলা হচ্ছে- সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। চোরকে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)