মনিরামপুরে পরকীয়ার অভিযোগে মারধর, শ্বশুরবাড়িতে বিধবার আত্মহত্যা
মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরে পরকীয়ার অভিযোগে এক বিধবা নারীকে মারধর করায় ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারীর ভাই বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনায় চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পোড়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
ওই নারীর নাম রহিমা বেগম (৩৮)। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইছানুর রহমানের স্ত্রী। পাঁচ-ছয় বছর আগে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন ইছানুর। এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ১৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ভিটায় থাকতেন রহিমা বেগম।
এ ঘটনায় বরুণ দত্ত নামের এক যুবককে পুলিশ দিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, বরুণ দত্তের সঙ্গে ওই নারীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।
মামলার বাকি তিন আসামি হলেন- পোড়াডাঙ্গা এলাকার আক্তার হোসেন, আব্দুল মান্নান ও ইসহাক আলী। এদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে- বরুণের সঙ্গে রহিমা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। গত শনিবার মধ্যরাতে রহিমার ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় তিন-চারজন বরুণকে বাড়ির সামনে রাস্তায় ধরে ফেলেন। এ সময় সেখানে লোকজন জড়ো হন। তখন রহিমা ঘর থেকে বেরিয়ে এলে উপস্থিত লোকজন তাকে মারধর করেন। সেখান থেকে ফিরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে রহিমা বেগম আত্মহত্যা করেন।
তবে রহিমা বেগমের মামা নাজমুল সরদার বলেন- রহিমাকে বিভিন্ন সময় স্থানীয় কয়েকজন কুপ্রস্তাব দিত। সে রাজি না হওয়ায় পরকীয়ার মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে।
রহিমার শ্বশুর মশিয়ার রহমান বলেন- আমি মাছের ঘেরে থাকি। শনিবার রাত ১১টার দিকে ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ১টার দিকে দুই-তিনজন এসে আমাকে ঘুম থেকে তুলে রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে দেখি বরুণকে আটকে রেখেছে। আমার সামনে ওরা বউমাকে মারপিট করেছে। পরে ঘরে এসে বউমা গলায় ফাঁস দিয়েছে।
এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসীন আলী বলেন- স্থানীয়রা জানিয়েছেন আটক বরুণের সঙ্গে রহিমা বেগমের পরকীয়া ছিল। এ অভিযোগে শনিবার রাতে স্থানীয়রা গৃহবধূ রহিমাকে বকাঝকা করেছে। পরে লজ্জায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন- আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গৃহবধূর ভাই মামলা করেছেন। বরুণ নামে একজনকে ধরে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)