আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে স্বপদে বহাল
আশাশুনি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আশাশুনি উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ রাসেল হোসেনকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রলীগের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ বহালের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন হোসেন বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাসেল হোসেনের উপর আরোপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার লিখিত জবাব পর্যালোচনা করে তাকে স্বপদে বহাল করা হলো। একই সাথে আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মহিষকুড়ে ডিসিআরকৃত ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে মাছ লুট, মারপিট ও চাঁদা দাবীর অভিযোগে, থানায় এজাহার দায়ের
আশাশুনির মহিষকুড়ে ডিসিআরকৃতঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে মাছ লুট মারপিট ও চাঁদা দাবীর অভিযোগে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে প্রকাশ, শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় গ্রামের মৃত হৃদয় কান্ত গাইনের কন্যা নিহার রানী গাইন গাজীপুর মৌজায় ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ১১৩০ দাগে ৫০ শতক জমি ডিসিআর নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছে। মহিষকুড় গ্রামের রফিকুল ইসলাম গাজীর পুত্র আবুল কালাম আজাদ গংরা জবর দখল করে নেয়। এব্যাপারে নিহার গাইন প্রশাসনের সহযোগিতায় জমি সহ শ্মশান ঘাট ফেরৎ নেয়। এক পর্যায়ে আবুল কালাম আজাদ গংরা জানায় এখানে ঘের করতে হলে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা না দিলে তারা আমাকে ঘের করতে দেবে না বলে জানায়। একপর্যায়ে আমি সহ আমার ভাই দিলীপ গাইন গত সোমবার সকালে মহিষকুড় মাছের সেটে মাছ বিক্রি করে রাস্তায় আসলে আবুল কালাম আজাদ, সাহেদ আলী ও মুকুল সরদার আমাদের পথ রোধ করে ধরে আমাকে বলে তোর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিলাম। তুই টাকা দিস নাই। আজ মাছ বিক্রি করা টাকা দে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আবুল কালাম আজাদ গংরা আমাকে আমার ভাইকে শ্মশান ঘাটে নিয়ে জীবন্ত জালিয়ে দেবে বলে প্রাণনাশ করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরই জের ধরে আবুল কালাম আজাদ গংরা দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ৯টার সময় আমার নিজ নামীয় ডিসিআর নেওয়া ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে আমাকে সহ আমার ভাইকে পেয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে ঘের থেকে চলে যেতে বলে। আমরা মৌখিকভাবে বাঁধ নিষেধ করি। তখন আবুল কালাম আজাদের হুকুমে অন্যান্য আসামীরা অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে মারপিট করে ফোলা জখম এবং শ্লীলতাহানি ঘটায়। মাছ বিক্রির নগদ ১০ হাজার টাকা, শ্মশান ঘাটের সীমানার চারিদিকে দেওয়া বাঁশের ঘেরা বেড়া ও খুটি ভাংচুর করে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি এবং ঘেরে বেড় জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ হাজার টাকার মাছ ধরে নেয়। এসময় আমাদের ডাকচিৎকারে পাশর্^বর্তী লোকজন ছুটে এলে আসামীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এব্যাপারে নিহার রানী গাইন শুক্রবার রফিকুল গাজীর পুত্র আবুল কালাম আজাদ, জালাল সরদারের পুত্র সাহেদ আলী, রুহুল আমিন সরদারের পুত্র মুকুল সরদার, ইসলাম গাজীর পুত্র হাসান আলী, রফিকুল গাজীর পুত্র ইদ্রিস গাজী, সেলিম গাজী ও আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সাফিনা আক্তারকে আসামী করে আশাশুনি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এব্যাপারে অসহায় নিহার গাইন পুলিশ সুপার ও আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)