এবার মাইকেল জ্যাকসনরূপে সাহসী হিরো আলম, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ‘বাবু খাইছো’ শিরোনামে একটি গান বেশ জনপ্রিয়তা পায় দেশের তরুণদের মধ্যে। ফেসবুক ও ইউটিউবে গানটি রিলিজ পাওয়ার পর অল্প সময়েই তা ভাইরাল হয়।
এরপর একই শিরোনামে গান গেয়েছেন হিরো আলম। আর এই গান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে তুমুল আলোড়ন।
আলোচনা-সমালোচনা গায়ে না মেখে নিজের মতো হেঁটে যাচ্ছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। গেয়েছেন ইংরেজি ও হিন্দি গান। তুমুল তোপের মুখে পড়েন এই দুই গান গেয়ে। তার পরও হিরো আলমের গান গাওয়া থেমে থাকেনি। এবার এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন মাইকেল জ্যাকসনরূপে অবতারণে।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রকাশিত একটি গানের মিউজিক ভিডিওতে হিরো আলমকে এই চেহারায় দেখা যাবে। মিউজিক ভিডিও প্রকাশের আগে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শুটিং দৃশ্য প্রকাশ করেছেন হিরো আলম। এই মিউজিক ভিডিওর অন্তরালের গানটিও হিরো আলম নিজেই গেয়েছেন, সঙ্গে গেয়েছেন রুমি।
হিরো আলম বলেন, নতুন নতুন পরিকল্পনার ভিত্তিতেই কাজ করি। নতুন পরিকল্পনারই অংশ এটি। আমার মনে হয়, কালা মাইকেল জ্যাকসন গানটির ভিডিও মানুষের ভালো লাগবে। আমি তো সব মানুষের জন্য গান বা ভিডিও করি না। প্রত্যেকের একটি ভক্তশ্রেণি রয়েছে। আমারও একটি ভক্তশ্রেণি রয়েছে, যারা আমার গান দেখে ও শোনে। আমি তাদের জন্যই কাজ করি। আমি মনে করি, আমার কাজ সবার দেখার দরকার নেই, সবার শোনারও দরকার নেই। যারা আমার শ্রেণিভুক্ত তারাই শুনবে, দেখবে। আমি তাদের জন্যই কাজ করি।
গানটি শিগগির প্রকাশ হবে বলেও জানান তিনি।
হিরো আলম। সম্প্রতি তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন গান গেয়ে। নেটিজেনরা কখনো তির্যক মন্তব্যে বিদ্ধ করেছেন তাঁকে, কখনো বা একহাত নিয়েছেন। আবার মামলাও খেয়েছেন, তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না। তিনি ‘নিজের মতো চলো’ নীতিতে অটল। প্রথম গান গেয়ে সমালোচনার বন্যাকে উপেক্ষা করে একে একে ১০টি গান গেয়ে ফেলেছেন। এবার মিউজিক ভিডিওসহ সামনে আসছেন।
গান প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, নিজের শখের বসে গান করেছি। এখন স্টেজ প্রগ্রামে গান করব। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব কনসার্টে যাই, সেসব জায়গায় আমি মানুষের গানে নাচ করতাম, এখন আমি নিজেই গান গাইব। মানুষ যদি না চায় তাহলে আমি গান করব না। একটা কথা আমি বলতে চাই, মানুষ যা চায় আমি তা-ই করি। মানুষ পছন্দ করে বলেই আমি করি, না পছন্দ করলে করতাম না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)