শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরায় কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার: জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব

এবিএম কাইয়ুম রাজ, শ্যামনগর: সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিতে কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ) পরিচালিত এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।

শ্যামনগরের ১৪টি গ্রামের ৩১ জন কৃষকের অংশগ্রহণে পরিচালিত এই গবেষণার ফলাফল বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় শ্যামনগর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপস্থাপন করেন বারসিকের কর্মসূচি কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন বারসিকের উপকূলীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার।

গবেষণায় দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকরা ধান ও সবজি চাষে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছেন, যার মধ্যে অনেক সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ও মারাত্মক বিষাক্ত পণ্যও রয়েছে। এসাটপ, ক্যারাটে, ডেল এক্সপার্ট, ফার্মকট, জোয়াস, কনজাপ্লাস, মিমটক্স, মর্টারসহ বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক সরাসরি ফসলে প্রয়োগ করা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কৃষকরাই এসব স্প্রে করছেন এবং তারা বিষক্রিয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত নন।

ফলে অনেক কৃষক দীর্ঘদিন ধরে ত্বক, চোখ, শ্বাসতন্ত্র ও লিভারজনিত জটিলতায় ভুগছেন। কারও কারও চিকিৎসা ব্যয় ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ ব্যয় মেটাতে অনেককে সঞ্চয় ভাঙতে হয়েছে কিংবা ঋণ নিতে হয়েছে।

এছাড়া কীটনাশকের প্রভাবে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি এবং জলজ প্রাণির মৃত্যু, শিশু ও বৃদ্ধদের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমনকি ক্ষেতের সবজিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কৃষক নজরুল ইসলাম, গহর কয়াল, গোপাল মন্ডল, কেনা মন্ডল ও কওছার তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা জানান, অধিক ফলনের আশায় বিক্রেতাদের পরামর্শেই এসব বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বারসিক কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিলন, প্রতিমা রাণী চক্রবর্তী, স্থানীয় সাংবাদিক, যুব সংগঠক ও কৃষক প্রতিনিধিরা।

বারসিকের পক্ষ থেকে বলা হয়, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে উপকূলীয় জনপদ ভয়াবহ সংকটে পড়বে। তারা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সহজ নির্দেশনা প্রদান, গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার, স্প্রে কাজে নিয়োজিতদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন এবং জৈব কৃষি পদ্ধতির প্রসারে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা জোরদারের দাবি জানান।

গবেষণার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ব্যক্তি নয়, সমগ্র সমাজ ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে এখনই দায়িত্বশীল উদ্যোগ গ্রহণ করা সময়ের দাবি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সুশাসন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই জামায়াতের লক্ষ্য : গাজী নজরুল ইসলাম

শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জনসভা বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালবিস্তারিত পড়ুন

সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ জামায়াত — মাওলানা আবদুর রহমান

এবিএম কাইয়ুম রাজ, শ্যামনগর: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীরবিস্তারিত পড়ুন

চাঁদাবাজি–দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার গাজী নজরুল ইসলামের

এবিএম কাইয়ুম রাজ : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীরবিস্তারিত পড়ুন

  • ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠায় শ্যামনগরের আটুলিয়ায় ওলামা সম্মেলন
  • রাস্তাঘাট মেরামতের জন্য স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তা দিলেন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী
  • শ্যামনগরে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধে উপকূলে জলবায়ু ধর্মঘট
  • শ্যামনগরে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী গাজী নজরুল ইসলামের জনসংযোগ
  • শ্যামনগরে বিএনপির যৌথ সভা: ড. মনিরুজ্জামানকে বিজয়ী করার আহ্বান
  • শ্যামনগরে মাছচাষীদের মাঝে জৈব সার ও মাছের খাদ্য বিতরণ
  • শ্যামনগরে বিএনপি প্রার্থী ডা. মনিরুজ্জামানের গণসংযোগ
  • শ্যামনগরে কিশোর কিশোরী, যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা
  • শ্যামনগরে চায়না দুয়ারি জাল নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন
  • শ্যামনগরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
  • কলারোয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন শ্যামনগর
  • শ্যামনগরে নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে পুরুষ সংবেদনশীল কর্মশালা