আশাশুনির গাজীপুর-কুড়িগ্রাম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
আশাশুনি প্রতিনিধি ঃ আশাশুনির গাজীপুর-কুড়িগ্রাম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান-২০১৮ সালে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করার পর থেকে এলাকার একটি স্বার্থান্বেসী মহল বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানি করে আসছে। দীর্ঘদিন মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ না থাকার কারনে মাদ্রাসার জমিজমা বেহাত হয়ে যায়। সেই সম্পত্তি উদ্ধার করতে যেয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার হচ্ছি। আমার নামে কোন নাশকতা মামলা না থাকলেও সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে নাশকতা মামলার আসামী সাজিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। থানায় পৃথক দুটি জিডি করার পরও ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। তিনি আরও জানান-২০২১ সালে মাদ্রাসার মাহফিলে মাদ্র্রাসা কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা না করে সেই স্বার্থান্বেসী মহালের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে বাজার কালেকশান করে নিজের ইচ্ছামত খরচ করে এবং সামান্য টাকা মাদ্রাসায় জমা দেয়াকে নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। ২২ সালে মাদ্রাসার মিটিং-এ কথা উঠলে প্রিন্সিপ্যাল কমিটির উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
এসব ঘটনার জেরধরে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মাহফিলের পূর্বের দিন ঘটনা দেখিয়ে অধ্যক্ষসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জিআর ৪৫/২২, সিআর ৫৯/২২ মামলা করা হয় এবং ৭ এপ্রিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা মানহানিকর লাইভ প্রোগ্রাম করা হয়। এরপর ৭জনকে আসামী করে জিআর ৯২/২২ নং মামলা করা হয়। মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে যারা আদৌ ঐদিন সে এলাকায় যায়নি বা ছিলনা তাদেরকে জড়ানো হয়। কিন্তু প্রবাদে আছে ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’ প্রবাদকে সত্য প্রমানিত করে তাদের মামলার স্বাক্ষী ইছাহক মোল্যা, সুশান্ত কুমার মন্ডল ও আঃ হামিদ গাজী ঘটনা সঠিক নয় উল্লেখ করে এ্যাফিডেভিট করে দিয়েছেন। অপরদিকে মাদ্রাসার জমি জনৈক খলিলের কাছে হারি দেওয়া ছিল। টাকা পরিশোধ না করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করতে থাকলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অন্যত্র জমি ডিড প্রদান করেন।
ফলে ষড়যন্ত্রকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে মাঠে নামে। এমনকি বামনের চাঁদ ধরার আশার মত অলীক অভিযোগ এনে মিথ্যাচার এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রোপাগান্ডা শুরু করে। এমনকি মাদরাসার এতিমদের জন্য সরকারি সহায়তা যথারীতি ও কর্তৃপক্ষের তদারকির মধ্যে কমিটি ও শিক্ষকদের গোচরে ব্যয় করার পরও আত্মসাতের অমূলক রটনা করা হয়। সকল ব্যয় বিল ভাউচারের মাধ্যকে করা ও সমাজ সেবা অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সঠিকতা যাচাই করে অনুমোদন করানোর পরও দুষ্টচক্র প্রমাদ গুণতে ছাড়েনি।
এতকিছুর পরও অধ্যক্ষ ও মাদরাসার ক্ষতিসাধনে সফল হতে না পেরে তাদের আরও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, মিথ্যা অপবাদ রটনা এবং প্রয়োজনে জীবন শেষ করে দেওয়া, মৎস্য ঘেরের ক্ষতিসাধন করার হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার পৃথক দু’টি ঘটনার অভিযোগ এনে থানায় ৩৬১ ও ৩১৬ নং জিডি করা হয়েছে। মাদ্রাসার সুখ্যাতি অটুট রেখে সুন্দর ভাবে পরিচালনা এবং অধ্যক্ষসহ তাদের সকলের সম্মানহানি রোধ ও সার্বিক সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, আইন আদালত, প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)